বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
আদালত চত্বরে মমতাজের উপর ডিম নিক্ষেপ, প্রশাসন নীরব  » «   রোমে সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব  » «   তর্ক-বিতর্কে মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এআই: গবেষণার এই ফল উদ্বেগের  » «   অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে, জানালো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ  » «   মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা: সেনাপ্রধান  » «   কক্সবাজারে কেন মার্কিন সেনা?  » «   করিডর নয় এবার `ত্রাণ চ্যানেল’র কথা জানালেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা  » «   বানু মুশতাক পেলেন বুকার পুরস্কার  » «   সুরমা-কুশিয়ারায় বাড়ছে পানি, আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই  » «   স্টারলিংক সংযোগ কীভাবে নেবেন?  » «   রেমিটেন্সে ট্রাম্পের কর প্রস্তাব, বড় ধাক্কার মুখে বাংলাদেশ  » «   ‘শুনানির’ দুই দিন আগেই জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া  » «   বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, খরচ কত?  » «   অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া বিমানবন্দর থেকে কারাগারে: ইন্টেরিমের প্রতি শিল্পীদের ক্ষোভ ও তিরস্কার  » «   বিশ্বরেকর্ড গড়ে এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশি শাকিল  » «  

করোনা সময়ে দরকার মানসিক শান্তি



কেমন আছেন দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত স্বজন। আশা করি ভালো। কিন্তু তা শুধু মুখে বলা, অন্তরে আসলে আমরা বেশি ভালো নেই। জানি এই অবস্থাতে কেউই ভালো থাকার কথা নয়। যে যার বাড়িতে গৃহবন্দী। এ যেন আপন গৃহে সারাজীবনের বসবাস। বন্দী অবস্থায় ভালো থাকা সত্যিই কঠিন।
এই মুহূর্তে আমাদের ভীষণভাবে যন্ত্রণা দিচ্ছে গৃহবন্দি থাকা। আমাদের সামনে কি অপেক্ষা করছে, আর কতদিন এভাবে আমাদের থাকতে হবে। গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমাদের এই যন্ত্রণাবোধ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

আমরা কি কয়েক দিন বন্দী থাকার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো। না কি আমাদের সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

আমরা কি আসলেই আমাদের নিজেদেরকে এই সংক্রমণ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে পারব। এই মহামারী থেকে নিজেকে অথবা নিজের পরিবার-পরিজনকে মুক্ত রাখতে পারব।  যদি এই মহামারিতে আমরা অথবা আমাদের পরিবার-পরিজনের কেউ সংক্রমিত হয়,তাহলে আমরা কি করব। অথবা এসব কবে শেষ হবে। এসব নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে ভীষণভাবে আমরা বর্তমানে মানসিক চাপে ভূগছি।

আর এই মানসিক চাপের বেশ কিছু শারীরিক লক্ষণ আছে, যেমন  মাথা ব্যাথা, গায়ে ব্যাথা, কোমরে ব্যথা, খাবার রুচি বৃদ্ধি, আরো অনেক কিছু।

ইদানিং অবস্থা  এমন যে, সর্দি কাশি জ্বর বমি বমি ভাব এসব হলে  আর যেন কোন কথাই নেই- হয়ে গেছে আসলটা। তার মানে করোনা!

আপনার মানসিক চাপ যত বেড়ে যাবে, ততো এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখা দেবে। আর এই দেখা দেয়া মানেই আপনার মনে হতে পারে আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আর করোনা ভাইরাস মানে আপনি নিজ থেকেই পরবাসী। আপনার জন্য নাই পরিবার-পরিজন, ডাক্তার, হাসপাতাল, এমনকি নিজের আপনজন।

কাজেই করোনা ভাইরাস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আপনাকে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। মানে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সাবধান থাকতে হবে,যেন অনিশ্চয়তাবোধ আপনাকে তাড়া করতে না পারে। এই অনিশ্চয়তায় বোধটি তৈরি হচ্ছে আসলে মানসিক চাপ থেকেই।

আমরা যত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছি ততো মানসিক চাপ বাড়াতে সাহায্য করছি। অথচ আমরা একবারও ভেবে দেখছিনা যে , ভবিষ্যৎ সবসময়ই অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিত যাত্রা নিয়ে চিন্তা করার কি কোন মানে আছে?  অথচ  ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এই আমরাই বলি,  কখনই আগে থেকে কিছুই জানা যায় না। হয়তো সামান্য অনুমান করা যায়, যা কিনা সঠিক হতে পারে এবং ভুল হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ আমাদের নাগালের বাহিরে বিষয়ও বটে।

ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে আমরা আমাদের আজকের এই সুন্দর দিনটিকে অসুন্দর করা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ ? বরং  আমরা সকলেই আজকের দিনটিতে মনোযোগ দেই। আজ সুস্থ আছি, সুন্দর আছি। আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, পরিবারের সাথে আছি, একসাথে আছি পরিবার পরিজন নিয়ে, এর চেয়ে বড় আর কি আশা করতে পারি। আপনার ঘরে পর্যাপ্ত খাবার আছে, ওষুধ আছে,  মোটামুটি চলার মত টাকা পয়সা আছে। অসুখ বিসুখ হলে আপনাকে কোথায় যেতে হবে কি করতে হবে এটাও আপনার জানা আছে। একবার কি ভেবে দেখেছি- যার কাছে এসব নাই, সে কিভাবে আছে ? জীবন পার করছে এই করোনা সময়ে।

আমাদেরকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ ভেবেই  শান্ত থাকতে হবে। বর্তমান স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। আসুন সকলে মিলে শান্ত থাকি, বাড়িতে থাকি, সুস্থ থাকি, হাসি খুশী থাকি এবং অপরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করি।

 লেখক : ৫২বাংলা প্রতিনিধি;  নর্থ লন্ডন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন