সাবেক কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রটোকল অফিসারের বড় ভাই আসম কামরুল ইসলাম বলেছেন, কুলাউড়ায় অবাধে গরু চুরি হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই। কুলাউড়া থানার ওসি সাহেবকে বলার পর এক গরুচোরকে আটক করেছেন কিন্তু অন্য গরুচোরদের গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ।
তিনি বলেন, থানার পুলিশের এক কর্মকর্তা গরুচোরের সাথে হাতমিলিয়ে তাকে বাচানোর জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছেন যা আমার কাছে প্রমাণ আছে। এ গরুচোরদের নাম ঠিকানা দেয়ার পরও যদি ইউএনও সাহেব ও ওসি সাহেব ব্যবস্থা নিতে না পারেন তাহলে আর কিছু বলার নেই।
তিনি ওসিকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করে চালান করলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু চোরদের গ্রেফতার করলে কি সমস্যা? আমি ওসি সাহেবকে জোর দাবি জানাচ্চি আপনার থানার দু একজন কর্মকর্তা গরুচোরদের সাথে সক্রিয় রয়েছেন আপনি এদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান।
তিনি কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, উনার একটি প্রতিষ্টান রয়েছে শহরে ‘মা ফার্মেসি’ নামে। এই ফার্মেসিতে দুজন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও তিনি ফার্মেসিটি বন্ধ না রেখে বরং প্রতিষ্টানের কার্যক্রম চালিয়ে যান। পরে ফেসবুকে এটি নিয়ে সমালোচনা হলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন এটি লকডাউন করার জন্য নির্দেশ দেন।
তিনি কুলাউড়া আসনের এমপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের কুলাউড়ার এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ধানের ছড়া নিয়ে এমপি হওয়ায় আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আমাদের পার্শ্ববর্তী আসনে অনেক অনেক বাজেট আসে কিন্তু কুলাউড়ায় ধানের ছড়ার এমপি হওয়ায় তা আসে না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজুর সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (১৭ জুন) উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দুপুর ১২ টায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও গনমাধ্যমকর্মীর সাথে মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।
কুলাউড়া ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু।
অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার, কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, কুলাউড়া পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক গৌরা দে, ইউপি চেয়ারম্যান আহবাব চৌধুরী শাহজাহান, নবাব আলী বাকর খান, প্রভাষক মমদুদ হোসেন, এমএ রহমান আতিক, আজিজুর রহমান মনির, আব্দুল জলিল জামাল ও আব্দুল বাছিত বাচ্চু প্রমুখ।
উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান উপস্থিত ছিলেন না।