হবিগঞ্জ জেলার দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশগুপ্ত জামিন পেয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলার চিড়াকান্দি বাগানবাড়ি এমপি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংস্থা,দৈনিক আমার হবিগঞ্জ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের ২৩ দিন পর জামিন পেলেন দৈনিক আমার হবিগঞ্জের প্রকাশক, সম্পাদক, আমার এমপির ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা সুশান্ত দাশ গুপ্ত।
রবিবার ১৪ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামালের আদেশে তিনি জামিন পান। বেলা ১২টায় হাইকোর্টের ২১ নম্বর এজলাসে মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও বিবাদী পক্ষে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শাকিল রেদোয়ান কবীর। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি আশরাফুল কামাল জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা দায়রা জজ আদালতে সুশান্তের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। গত ২১ মে ভোরে হবিগঞ্জ শহরে চিড়াকান্দি এলাকায় দৈনিক আমার হবিগঞ্জ অফিস থেকে গ্রেফতার হন সুশান্ত।
২০ মে মধ্যরাতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির বাদি হয়ে সুশান্ত দাশ গুপ্ত, নির্বাহী সম্পাদক নুরুজ্জামান মানিক বার্তা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সুমন ও প্রতিবেদক তারেক হাবিবকে আসামি করে হবিগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। বাদির অভিযোগ, হবিগঞ্জ সদরের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহিরের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ ৪টি অসত্য সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে আপলোড করেছেন। সাংসদ আবু জাহির প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তাই সংক্ষুব্দ হয়ে তিনি এই মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৩ সাংবাদিক গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক, সিলেট শাহজালাল বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা, ব্লগার সুশান্ত দাশ গুপ্ত গ্রেফতার হওয়ার পর দেশ-বিদেশে সাংবাদিক, ব্লগার, দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা ফেসবুক ও নানা গণমাধ্যমে সুশান্তের মুক্তি দাবি করেন।
এদিকে, সাংসদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক আমার হবিগঞ্জের ডিক্লারেশন বাতিলের দাবি করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদ সভা ও বিবৃতি প্রকাশ করায় ওই দুই সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদককে সাসপেন্ড করেছে সংগঠনগুলোর কেন্দ্রিয় কমিটি।