আরব আমিরাতের ফুজেরা থেকে বাংলাদেশী এক তরুনীকে একটি অভিজাত হোটেল থেকে অনৈতিক কাজে জোরপূর্বক ব্যবহারের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
৬ জুন শনিবার রাত একটা সময় দুবাই কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান ৫২বাংলার প্রতিবেদক জাকির হোসেন কে ফোন করে জানান , ফুজেরা এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে একজন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী মেয়ে গত তিনদিন থেকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তাকে এই হোটেলের নাইটক্লাবে অনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল বলে তরুনী জানায়।
আটকে পড়া মেয়েটি বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল এর ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে ফোন দিয়ে উদ্ধারের অনুরোধ করেন।
পরে কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান বাংলাদেশ সমিতি ফুজেরা শাখার সহ সভাপতি তপন বাবু সরকার এবং ৫২বাংলার প্রতিনিধি জাকির হোসেন সকাল ৬টায় অভিজাত এই হোটেলে অবস্থান করেন। আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এই সময় কনসাল জেনারেল মোঠফোনে সার্বক্ষণিক তাদের সাথে ছিলেন।
উদ্ধারকৃত নির্যাতনের অভিযোগ আনা এই তরুনীর সাথে কথা বলে, পরে তাকে একইদিন বেলা আড়াইটার সময় এয়ার আরবিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ফারজাহ ইন্টারল্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে তাকে বাংলাদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়।
কনসাল জেনালেল ইকবাল হোসেন খান এর বিশেষ হস্তক্ষেপে এয়ার এরাবিয়ার এই বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে প্রেরণের সকল কার্য সম্পাদন করা হয়েছে।
নির্যাতিত এই তরুনীর সাখে আলাপে জানা গেছে- করোনা পেনডামিকের আগে একটি নৃত্যদলের সদস্য হয়ে অন্যান্যদের সাথে তিনি দুবাইয়ে এসেছিলেন। এই হোটেলে সে লকডাউন সময়ে অবস্থান করছিল। এবং তাকে বার বার অনৈতিক কাজে ব্যাবহারের জন্য শারিরিক ও মানষিক চাপ দিয়ে আসছিল বাংলাদেশী একটি দালাল চক্র।
উদ্ধারকৃত তরুনী ৫২বাংলাকে জানিয়েছেন-এই দালাল চক্রের হাতে আর অনেক বাংলাদেশী আগেও নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন কিন্ত নানা কারণে তারা মুখ খুলছেন না।
প্রসঙ্গত এই ঘটনার কয়েকমাস আগেও কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান এর হস্তক্ষেপে দুবাই সিটি থেকে বেশ কয়েকজন তরুনীকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে উদ্ধারকৃত তরুনী তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দুবাইস্থ আরব আমিরাত দূতাবাসকে আন্তরিবক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।