করোনা ভাইরাসের কারণে ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার। কৃষিকাজে শ্রমিক সংকট দেখা দিলে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি বাসা বাড়ির কাজ এবং প্রবীনদের দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করে নেবার কথা বলা হয় নতুন এই আইনে।
শুধুমাত্র দুটি সেক্টরে বৈধতা দেবার কারণে ইতালিতে বসবাসকারী প্রায় ছয় লাখ অবৈধ অভিবাসী অনেকেই এই বৈধতা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে কাজের ক্ষেত্র এবং পাসপোর্ট সমস্যার কারণে অনেক বাংলাদেশী দীর্ঘ ৮ বছর পর দেয়া এই বৈধতার সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে না। অভিবাসী বাংলাদেশিরা সাধারণত কৃষিকাজ, বাসাবাড়ি এবং প্রবীনদের দেখাশোনার কাজ করে না। ফলে বিনা শর্তে সকলের জন্য বৈধতার ঘোষণা না এলে এবারও অনেক বাংলাদেশের ভাগ্য অনিশ্চিত রয়ে যাবে।
তবে শুক্রবার বাংলাদেশ সমিতি ইতালির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার এর সাথে পাসপোর্ট সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসেন। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের পাসপোর্ট কিংবা ছবিযুক্ত সার্টিফিকেট ইস্যু করবে রোম দূতাবাস। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ইতালীয় প্রশাসন ছবিযুক্ত সার্টিফিকেটকে পাসপোর্ট এর বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করবে কিনা। এ ছাড়াও দূতাবাসে সোমবার থেকে সকল প্রবাসীরা বিনা এপয়েন্টমেন্টে সকলকে সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট সহ দূতাবাসের সকল কার্যক্রমের সেবা গ্রহন করতে পারবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
দূতাবাসের বৈঠকে বাংলাদেশ সমিতি ইতালী সভাপতি আফতাব ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম ছাড়াও সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, ইতালী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা মাহতাব হোসেন, ইতালী আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ সমিতির ইতালির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বাবুল, ইসরাফিল বারী, বাশার মালত, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কসি, ইমিগ্রেশনবিষয়ক সম্পাদক ইকবাল ঢালী, রাসেল মৃধা, সদস্য সুমন, টিটু মালত, গাজী জাকির। ইতালী আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর রউফ ফকির, নজরুল মাঝি, শাহ্ আলম, প্রথম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, সুয়েব দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক দিন মোহাম্মদ, মাহাবুব প্রধান, শ্রমিক লীগ ইতালী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, ইতালী যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ঢালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ফজলুল হক মোহাম্মদ লিটন, ইমরুল কায়েছ, সহ আঞ্চলিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে যাদের স্টেপারমিট ছিল এবং যারা উল্লিখিত দুটি সেক্টরে কাজ করতেন তারাও বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া রাজধানীর রোমসহ পুরো ইতালিতে এক শ্রেণীর দালাল অপপ্রচার শুরু করেছে। কমিউনিটির নেতারা দালালদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।