ইতালিতে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে। দুই দফা শিথিল করা হলেও প্রত্যাহার করা হয়নি এই লকডাউন। দেশটিতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সন্তোষজনক পর্যায়ে নেমে না এলেও দুই দফা শিথিল করা হয়েছে এই লকডাউন। করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতর। ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ ডক্টর মুক্তার হোসেন জানান, ইতালিতে সরকারি উদ্যোগে এই প্রথমবারের মতো চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মে) দেশটির ছয়টি বড় শহর থেকে চাঁদ দেখার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে ইতালিতে শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
এদিকে সৌদি আরবের রিয়াদের পার্শ্ববর্তী মাজমাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বলছে, আজ শুক্রবার সূর্যের আগেই চাঁদ ডুবে যাবে। এবং আর দেখা যাবে না। ফলে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে রোববার। এবং আরো জানা যায় ইতিমধ্যেই ইউরোপের আরেক দেশ মরক্কোতে তাদের সরকার ঘোষনা করে দিয়েছে রোববার ঈদ পালন করবে।
করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের আনন্দ নেই কারো মনেই। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তবুও ছেলে মেয়েদের জন্য কেনাকাটার করার চেষ্টা করছেন। ঈদ এলেই রাজধানী রোমসহ দেশটির প্রধান প্রধান শহরে তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এবার তার ব্যতিক্রম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষের হাতে অর্থ নেই, তবু কেউ কেউ সন্তানদের জন্য কেনাকাটা করছেন বাধ্য হয়ে। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় ইতালির বিভিন্ন শহরে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার সে সংখ্যা খুবই কম। লকডাউন শিথিল করার সুবাদে রাজধানী রোমে পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওর খোলা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের অনুমোদন পেয়েছে সরকারের কাছ থেকে। জাতীয় ঈদ উদযাপন পরিষদ অন্যান্য বছরের মতো এবারও এখানে বেশ কিছু ঈদের জামাতের আয়োজন করবে। জাতীয় ঈদ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক হাজী আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব আব্দুর রব ফকির জানিয়েছেন, সকাল সাতটা থেকে ঈদের জামাত শুরু হবে এবং প্রতিটি জামাতই হবে সংক্ষিপ্ত। তবে সকলকেই মাস্ক এবং গ্লাভস পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মেনেই ঈদের জামাতে উপস্থিত হতে হবে বলে জানান তারা।