আগামী মাস থেকেই ইউরোপের মধ্যে দেশগুলোকে সীমান্ত খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এরমধ্যে সংক্রমণ বাড়লে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হবে বলেও জানায় জোটটি। কোভিড নাইন্টিন মহামারি চীনের উহান শহর থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে চীনের থেকে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই এতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুতই ইউরোপ হয়ে ওঠে মহামারি সংক্রমণের নতুন উপকেন্দ্র। সংক্রমণ ঠেকাতে মহাদেশটির দেশগুলো একে অপরের সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছিল। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মতো ইউরোপের আরো কিছু দেশ।
পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও জুন মাসেই কড়াকড়ি শিথিল হয়ে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইইউর স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকিডেস। তবে যতদিন করোনা ভাইরাস লোপ না পাবে, ততদিন ভ্রমণের ফলে ঝুঁকিও দূর হবে না বলে জানান তিনি৷ তার মতে, ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিয়ম শিথিল হলেও সতর্ক থাকতে হবে, সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখতে হবে এবং কড়া হাতে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করে যেতে হবে৷
বিধিনিয়ম শিথিল করা হলেও পর্যটনের ক্ষেত্রে এখনো অনেক সংশয় রয়ে গেছে৷ কারণ মানুষের মনে এখনো সংক্রমণের আতঙ্ক রয়ে গেছে৷ বিদেশে গিয়ে আক্রান্ত হলে কতটা সাহায্য পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে মনে সংশয় কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ পর্যটন ক্ষেত্র সার্বিকভাবে ইইউ কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও জাতীয় সরকারের পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে৷ এ দিকে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়ার্ল্ড মিটারস এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩,১৬,৭৩২ জন।
মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ৯০,৯৭৮ জন মারা গেছেন। । যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪,৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর তালিকার তৃতীয় অবস্থায় রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১,৯০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ২,৮১,৭৫২ জন্ । আক্রান্তের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। বিশ্বজুড়ে অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত করোনার কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।এদিকে এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে, করোনা নিয়ে গবেষণার জন্য ৮০০ কোটি ডলারের তহবিল গড়ে তোলা হবে।