বকেয়া বেতনের দাবিতে লেবাননে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
গত মঙ্গলবার লেবাননের রোড ক্লিনার কোম্পানি রামকুতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। এ সময় রামকু কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে কর্মীদের বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে।
শ্রমিকরা জানান, গত ৭ মাস ধরে রামকু কোম্পানি বাংলাদেশি কর্মীদের লেবানিজ পাউন্ডে পেতন পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী তাদের ডলারে বেতন পরিশোধ করার কথা। অন্য দিকে গত ৩ মাস ধরে কোনও কর্মীর বেতন পরিশোধ করেনি কোম্পানিটি। বেতন ভাতা আদায়ের দাবিতে মঙ্গলবার কর্মীরা বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় নথি জমা দেয়। কোম্পানির ইনচার্জ সেই নথিপত্র গ্রহণ করতে না চাইলে ঘটে বিপত্তি। ইনচার্জের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাংলাদেশিরা উত্তেজিত হয়।
লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে লেবাননে শ্রম মন্ত্রণালয় ও রামকু কর্তৃপক্ষের সাথে বসার কথা ছিল। কিন্তু রামকুর উকিল আজ না আসতে পারায় শুক্রবার বৈঠক হবে। এছাড়া শুক্রবার দূতাবাসের একটি দল রামকু পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
লেবাননের শ্রমিক সংগঠন ফেনাসলের সভাপতি আব্দুল্লাহ ক্রেস্ট জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। বাংলাদেশি কর্মীরা সুন্দরভাবে তাদের সমস্যার কথা কাগজে লিখে তাদের কোম্পানিকে দিতে চাচ্ছিল। কিন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ তা গ্রহণ করেনি।
এ ঘটনার পর বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় RAMCO কোম্পানিতে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ (১৪মে) সকাল ১১ টায় লেবাননের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ডিজি মহোদয়ের সাথে মিটিং ছিল। কিন্তু Ramco এর আইন উপদেষ্টা না আসায় মিটিং করা যায়নি। আগামী সোমবার দূতাবাসে Ramco এর প্রতিনিধি আসবে। আগামী বুধবারে ILO, দূতাবাস ও লেবাননের শ্রম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি সভা করবে। প্রবাসীদের অনুরোধ করব এ পরিস্থিতিতে কোন প্রকার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ থেকে আপনারা বিরত থাকবেন।