করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। জরুরি সেবা দেওয়াসহ দফতরগুলোকে আওতার বাইরে রেখে বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও চার দফায় ছুটি বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়।
সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বর্ধিতকরণ’ শীর্ষক এক আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল চালু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে । তবে তা অবশ্যই বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
এতে বলা হয়, রমজান এবং ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, বড় বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। দোকানপাট এবং শপিংমলগুলো আবশ্যিকভাবে বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে সকালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ পরিস্থিতির মধ্যে ঈদের আগে যেন সবাই কেনাকাটা করতে পারে সেদিকেও সরকার লক্ষ্য রাখছে। যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাই কেনাকাটা করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।