লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী কর্মসূত্রে থাকেন আরব আমিরাতে। সে হিসেবে আরব আমরিাতের এই বাংলাদেশী প্রবাসীদের আছে প্রাত্যহিক নানা সমস্যা। বিশ্বের করোনা কালিন এই সময়ে প্রচন্ড সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছেন দেশটিতে অবস্তানরত বাংলাদেশীরা।
করোনার ভয়াবহ থাবায় হাজার হাজার বাংলাদেশী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমনকি খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে।আমিরাতে অবস্তানরত সম্পন্ন মানুষেরা এসময়ে দুস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণও করেছেন।এবং তারা তা অব্যাহত রেখেছেন।
৫২বাংলা টিভিডটকমের পাঠক-দর্শক এরকম নানা সমস্যা নিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছেন প্রতিদিন। কারো ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কারো বাসায় খাবার নেই, দেশে কেউ আটকা পড়েছেন এরকম নানা সমস্যা উৎকন্ঠার মাঝে আছেন প্রবাসী পরিবারগুলো। এ হিসেবে ৫২বাংলাটিভি পাঠক-দর্শকদের আরব আমিরাত তথা মধ্যপ্রাচ্যর সর্বশেষ তথ্য প্রচার করছে।
আমাদের দুবাই সংবাদদাতা জানিয়েছেন বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সরকারের নির্দেশনামত ত্রাণবিতরণসহ সাধ্যমত সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে, খোঁজ-খবর নিচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রবাসী বাংলাদেশীদের।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মৃত মানুষের লাশ সমাধি করা নিয়ে সংকটের মাঝে আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। লাশ সৎকার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এমনকি আমেরীকা-ব্রিটেন-ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। শুধু করোনা আক্রান্ত মানুষের লাশ নয়, সাধারন মৃত্যুতেও এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এই দেশগুেলো।
এরকমই এক সংকটের মাঝে আটকে আছে আমিরাতে প্রায় শত বাংলাদেশীর লাশ। বিভিন্ন রোগে মৃত্যুররণ করা আমিরাত প্রবাসি মানুষের এই লাশগুলো মর্গেই পড়ে আছে। করোনার কারনে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশীদের লাশ পাঠানো যাচ্ছে না স্বজনদের কাছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম দুবাই’র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদকের সূত্র দিয়ে উল্লেখ করেছে, ক’জন বাংলাদেশির লাশ দেশে পাঠাতে গিয়ে ঐ কমিউনিটি নেতা ব্যর্থ হয়েছেন।তাঁর মন্তব্যে তিনি বলেছেন, শুধু দুবাইতেই ৪৫ জনের বেশি প্রবাসীর লাশ বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। আবুধাবি, আল আইন, শারজাহ ও অন্যান্য প্রদেশের হাসপাতালের মর্গেও বাংলাদেশিদের লাশ রয়েছে বলে প্রবাসী সংগঠক মত প্রকাশ করেছেন।এবং সবমিলিয়ে প্রায় একশ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো যায়নি বলে তাঁর ধারনা।
যদিও স্থানীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের লাশের সংখ্যার ব্যাপারে কোনও তথ্য নিশ্চিত করেনি।এ বিষয়ে দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বন্ধ ফ্লাইট চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছি।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২১ মার্চ থেকে আমিরাতের সাথে সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। তার আগে থেকেই দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালের প্রধানত হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে বিভিন্ন সময়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের লাশ দেশে পাঠানোর অপেক্ষায় ছিল।
সম্প্রতি দুই দফায় বিশেষ ফ্লাইটযোগে আমিরাত থেকে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে বসবাসকারী ও ছোটখাট অপরাধী মোট ৩১২ জন বাংলাদেশিকে স্থানীয় বিভিন্ন কারাগার থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সব দেশের অভিবাসীর লাশ স্থানীয়ভাবেই শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম