বিশ্ব পরিমণ্ডলে ছড়ানো সব ধরনের ‘জল্পনা-কল্পনা’ আর ‘গুঞ্জন’কে উড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। তাকে ঘিরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ দিনের ‘ঘোর’ ভেঙে কিম একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
শনিবার (২ মে) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র খবরে এমনটি বলা হয়েছে। তাদের বরাত দিয়ে বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
কেসিএনএ জানায়, কিম ফিতা কেটে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেছেন। তাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে দেখে ‘উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন’ উপস্থিত জনতা। এসময় তার সঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বোন কিম ইয়ো-জংও ছিলেন।
গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে কিমকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না। দাদা সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম ইল-সাংয়ের ১৫ এপ্রিলের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কিম অনুপস্থিত থাকলে গোটা বিশ্বের নজরে আসে বিষয়টি। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের গুঞ্জন এবং গুজব ছড়াতে থাকে। এমনকি তার মৃত্যুর খবরও ছড়ায় দু’একটি সংবাদমাধ্যমে।
পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছায় যে, কিমের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রের দায়িত্বে তার বোন ইয়ো-জং আসছেন বলেও খবর প্রচার হতে থাকে। যদিও এতোসব গুঞ্জনের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কিছুই বলছিল না।
তবে নিউইয়র্ক পোস্টসহ কিছু সংবাদমাধ্যম জানায়, এপ্রিলের শুরুতে এক দুর্গম গ্রামীণ এলাকায় সফরে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান কিম। এরপর তার তার হার্টে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া গত আগস্ট থেকে কিম হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। পায়েকতু নামের ওই পাহাড়ি এলাকা থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই তার সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়। সেজন্য চিকিৎসার স্বার্থে বা করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে তিনি আড়ালে গিয়ে থাকতে পারেন।
কিমের মৃত্যুর খবর ছড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, এই খবরটি মিথ্যা।
এতোদিনের ‘ঘোর’ ভেঙে একটি অনুষ্ঠানে কিমের যোগ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না।