আগামী ৪ মে থেকে ইতালিতে চলমান লকডাউন শিথিল হচ্ছে। শুরু হচ্ছে লকডাউন এর দ্বিতীয় ধাপ। দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমার সাথে সাথে কিছু কিছু দোকানপাট খুলে দেবার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। গতকাল ২৭শে এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশটির লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের নতুন কিছু আইন জারি করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত যে ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ইতালীতে বসবাসরত নাগরিকদের । তিনি বলেন, আপনারা সকলেই সাহস দেখিয়েছেন; বিভিন্ন জাতি-গুস্ঠির সাহস, দায়িত্ববোধের কারনেই এখন ভাইরাসের সাথে সহাবস্থানের দ্বীতিয় পর্বটি শুরু হচ্ছে এবং এবং এই দ্বীতিয় ধাপটিতেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে আরও বেশী। দেশের কয়েকটি অঞ্চলে সংক্রামনের রেখা আবার উঠতে পারে আমাদের অবশ্যই স্পষ্টভাবে বলতে হচ্ছে, এই ঝুঁকিটি এখনও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কন্তে সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখার ব্যাপারটা আবারও জোর দেয়ে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামগুলির ব্যবহার এই দ্বিতীয় ধাপে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এবং সেকারনেই সার্জিক্যাল মাস্কের দাম সর্বোচ্চ € ০.৫০ নির্ধারণের নির্দেশের কথাও ঘোষন করেন ।
যোগাযোগের ব্যাপার তিনি উল্লেখ করেন, একই অঞ্চলে কাজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে, চিকিৎসার প্রয়োজনে বা আত্মীয়দের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে, তবে বিধি বিধান কঠোরভাবে পালনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।গণপরিবহণে ক্ষেত্রে মাস্ক, হেন্ড গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সুরক্ষা বিধি না মানলে প্রভিন্সের মেয়ররা নাগরিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞাও করতে পারবেন বলে জানান। এবং শিশুদের খেলার জায়গাগুলিতে সামঞ্জস্য রেখে পাবলিক পার্কগুলিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে, জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে, যেখানে সর্বোচ্চ ১৫ জনের জন্য প্রথম এবং কোন কোন ক্ষেত্র কিছু আত্মীয়রা উপস্থিত থাকবেন।
৩৭ ডিগ্রি জ্বর ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্তদের জন্য আরও কঠোর নিয়ম করা রয়েছে; আক্রান্ত মানুষদের বাড়িতে অবস্তান করতে এবং তাদের ডাক্তারকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতা প্রয়োগ করেছেন তিনি তাঁর বক্তৃতায়।
ক্যাটারিং কার্যক্রম হিসাবে হোম ডেলিভারী ছাড়াও, বাড়িতে বা অফিসে সঙ্গীদের নিয়ে একসাথে খাবারের অনুমতি দেওয়া হবে বলে তিনি তাঁর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন।
৪ মে থেকে উৎপাদন, নির্মাণ কাজ এবং পাইকারি খুচরা বাণিজ্য পুনরায় চালু করতে সক্ষম হবে দেশটি। এসময় থেকে দেশটিতে ক্রীড়াক্ষেত্রেও যেমন খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষনসহ কিছু কিছু কার্যক্রম করার অনুমতি দেয়া হবে।
দেশের প্রতিটি পরিবার, শ্রমিক কিংবা ব্যবসা জন্য ইতিপূর্বে ঘোষিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সহায়তা ছাড়াও অন্যান্য ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় জন্য ৬০০ ইউরো বোনাসের জন্য ১১ মিলিয়ন মানুষ এ্যপ্লকিশন করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন দরখাস্ত ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাকিগুলো বিলম্ব হচ্ছে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই বিলম্বের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।প্রধানমন্ত্রী কন্তে জোর দিয়ে বলেছেন যে, সরকার নতুন একটি পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে আরও ৫৫ বিলিয়ন ইউরো জনগণের জন্য ব্যয় করা হবে।