বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «   রোটারিয়ান মোহাম্মদ খতিবুর রহমান বার্লিন যাচ্ছেন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন বাজেটে হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ দমন, তরুণ, বয়স্ক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে বিপুল বিনিয়োগ প্রস্তাব  » «   আজীবন সম্মাননা পেলেন সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই  » «   লন্ডন বাংলা স্কুলের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনবাসী প্রবীণ মুরব্বী জমির উদ্দিন( টেনাই মিয়া)র ইন্তেকাল  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বাংলাদেশে ঘরে থাকার আকুতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর খোলা চিঠি



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

 

প্রিয় বাংলাদেশ,

তোমার সন্তানেরা বিশ্বের কোথাও আজ সুখে নেই। করোনা ভাইরাস একে একে কেড়ে নিচ্ছে  প্রিয় মুখ। প্রিয়জন। প্রতিবেশী। আমাদের সুখ শান্তি।

কোভিক-১৯ আজ তোমার বুকেও তার  ঠিকানা বানাচ্ছে।  একে একে লক ডাউন হয়েছে জেলা থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে গ্রাম।পাড়া- মহল্লা। শুরু হয়েছে সবদিকে চরম নির্মমতা ।

তোমার জন্য আমাদের  চিন্তার শেষ নেই। কষ্ট  বয়ে বেড়ানোর শক্তি হারাচ্ছি দিন দিন। কারণ একটাই, আমার মাতৃভূমিই আমার হৃদস্পন্দন। আমার নাড়ী। আমি যেখানেই থাকি না কেন- বাংলাদেশই  আমার প্রাণ। আমার অক্সিজেন এর মতো।

প্রিয় বাংলামায়ের সন্তান,

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অন্তত্ এই কিছু দিন  ঘরে থাকুন। বাইরে মৃত্যুর হাতছানি।রাক্ষসের চেয়েও ভয়ন্কর মৃত্যু থাবা নিয়ে কোবিক ১৯ বসে আছে সবখানে। রাক্ষস একজনকে মারে। করোনা ছড়ায় একজন থেকে শতজনে, অল্প সময়ে। এই তথ্যটি বাংলাদেশের জনগণ জানে না- এমন কী কেউ এখনও আছেন?

বিশ্বের ক্ষমতাসীনরা অসহায় এর মত আকাশের দিকে চেয়ে আছে, যদি কোন সাহায্য উপর থেকে আসে।  বাংলাদেশের মানুষ  কি দেখতে পাচ্ছেনা- স্পেন, ইতালী, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের গণকবর।  জাতি ধর্ম বর্ণের মৃত মানুষের সারি সারি লাইন। অপেক্ষায় আছে কখন, কোনদিন হবে  তাদের স্বজনদের কবর।

মানুষ কী সংবাদপত্রে, গণমাধ্যমে  দেখতে পাচ্ছে না  দশ বারো বছরের সন্তানদের নিয়ে অসুস্থ মার মর্মস্পর্শী সংগ্রাম। দিনের পর দিন ঘরে থেকে করোনার সাথে লোমহর্ষ যুদ্ধ করে পরাজিত হবার কথা। একই ঘরে পড়ে থাকা পিতার লাশ রেখে, অন্যঘরে করোনা ভাইরাসের সাথে সংগ্রাম করছে বাকী সন্তানরা। ভাগ্যে জুটছেনা প্রিয়জনের মৃতদেহ শেষ বারের মতো ছোয়ে  দেখার সুযোগও।

বাংলাদেশিরা নিশ্চয় গণমাধ্যমে দেখছেন-  হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে ডাক্তার নার্স কেয়ারারও আক্রান্ত এবং  মৃত্যুর মিছিলে তাদের নামও দীর্ঘ হচ্ছে।

প্রিয় বাংলাদেশী,

আমরা জানি- আমাদের দেশের তরুন সমাজ   অনেক তথ্য পৃথিবীর বহু দেশের আগেই তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে জানতে পারে। তবে কেন এই কোভিক-১৯ নিয়ে আমাদের এতো অবহেলা।

বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সবাই অন্যের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত। কে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মানছে না, কে দল বেধেঁ কোথায় গেছে বা যাচ্ছে, কার ছেলে ঢাকা- চট্রগ্রাম- সিলেট দৌড়াচ্ছে- ইত্যাদি বলে যেন নিজের দায়িত্ব পার করছেন। অথচ নিজে এবং নিজের পরিবারকে নিয়ে হোম কোরাইন্টেনে থাকার চিন্তাতেই নেই।

মনে হয় তাকে ও তার পরিবার থেকে শতমাইল দূরে থাকার কথা করোনা আগেই জানিয়ে গেছে। তাই করোনা দূর্যোগে এখন তার দায়িত্ব শুধু অন্যের নেতিবাচক সমালোচনা ও দুর্বলতাগুলোকে নিয়েই খোশগল্পে থাকা।

প্রিয় বাংলাদেশ,

প্রবাসে করোনা মহামারিতে আমরাও আটকে আছি। চারদিকে আক্রান্তদের তালিকার সাথে যুক্ত হচ্ছে আপনজন হারানোর বেদনা। শোকের মাতমও। এই দূ:সময়ে বলতে গেলে আমাদের কষ্টের মাঝে যুক্ত আছে প্রিয় বাংলাদেশ।

আমরা যেমন আমাদের নিয়ে চিন্তায় দিন পার করছি। তেমনি বাংলাদেশকে নিয়েও আমাদের সমান চিন্তা। মাতৃভূমি ভালো থাকলে পৃথিবীর সব দেশের সন্তানরাও সুখে থাকে।

প্লিজ ঘরে থাকুন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে  শতভাগ স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলনু । পরিবার পরিজনদেরও এই নির্দেশনা মেনে চলতে ঘরে থেকেই বুঝিয়ে বলুন। বৃদ্ধ বাবা-মা ও শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেয়া এই সময়ে সবচেয়ে বড় কর্তব্য- এই বিষয়টি  প্রবাসীদের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে  বাংলাদেশিরা ভালো জানেন। নিজেকে সময় দিন। প্রার্থনায় থাকুন-অন্যদেরও রাখুন।

আমাদের প্রার্থনায় সব সময় আছে মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ জাহেদ মাহমুদ সুমন : সংগঠক , মিশিগান স্টেট, যুক্তরাষ্ট্র  প্রবাসী।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক