করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চারটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে ব্রিটিশ নাগরিকরা। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে এ সব ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।
এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পর্যটক, স্বল্পমেয়াদী দর্শনার্থী এবং তাদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য ঢাকা থেকে লন্ডন পর্যন্ত চারটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বর্তমানে সিলেটে থাকা ব্রিটিশ দর্শনার্থীর জন্যও এই ফ্লাইটের আগে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিবছর দেড় লক্ষাধিক ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশ সফর করেন। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিমানের চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট নেই।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি ব্রিটিশ নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরানোর কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিতে পেরে খুব আনন্দিত।’
তিনি জানান, তারা এই ফ্লাইটগুলোর ব্যয় যতটা পারে কম রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তবে কেউ ঢাকা বা সিলেট যেখান থেকেই যাত্রা করুক না কেন যুক্তরাজ্যে ফিরতে মাথাপিছু খরচ হবে ৬০০ পাউন্ড।
ফিরতে ইচ্ছুক ব্রিটিশ নাগরিকরা করপোরেট ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট (সিটিএম) বা ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট পার্টনারের মাধ্যমে এই বিমানগুলো বুক করতে পারবেন।
ডিকসন ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই চার্টার্ড প্রোগ্রামটি চালু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। ধৈর্য রাখার জন্য আপনাদেরকেও ধন্যবাদ। আমি আনন্দিত যে আপনারা খুব শিগগিরই যুক্তরাজ্যে ফেরার সুযোগ পাবেন।’
হাইকমিশন জানায়, এই ফ্লাইট সুবিধা শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা নিতে পারবেন। নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই টিকিট দেয়া হবে। প্রতিটি ফ্লাইটের বুকিং ফ্লাইটটি ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিমানবন্দরে টিকিট বিক্রয় হবে না।
ব্রিটিশ হাইকমিশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যাতে যুক্তরাজ্য ফিরতে বিকল্প বাণিজ্যিক ফ্লাইট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিশ্চিত করা যায়।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাজ্যসহ আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইট স্থগিতাদেশ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। চায়না সাউদার্ন এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এখনও চীনে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তবে সেগুলো কেবল চীনা নাগরিকদের জন্য।
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এর আগেও বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন।