অসমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ালো ২৯-এ। তন্মধ্যে মৃতবরন করেছেন ১ জন। গতকাল পর্যন্ত ২৯ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। আজ নতুন করে কারও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। তন্মধ্যে একজন সদ্য উমরাহ করে আসা আলহাজ্ব ফয়জুল হক বড়ভূইয়া গত পরশু শিলচর মেডিক্যাল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। উল্লেখ্য, ফয়জুল হক গত ১৮ মার্চ পবিত্র উমরাহ শেষে দিল্লি হয়ে তাঁর হাইলাকান্দির বাসভবনে এলে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় হাসপাতালে কোয়ারিন্টাইনে পাঠানো হয়। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাঁকে বাড়িতে যেতে দেয়া হয়। কিন্তু গত ৭ এপ্রিল তাঁর মধ্যে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ ফুটে উঠলে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে আইজোলেশনে রাখা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
মৃত্যুর পর প্রশাসনিক তৎপরতায় মুষ্টিমেয় জনা কয়েকের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ শেষে তাঁকে কবরস্থ করা হয়। এদিকে, সৌদি-ফেরত ফয়জুল হকের মৃত্যু ও দিল্লির মরকজ-সংশ্লিষ্টতার দরুন সমগ্র রাজ্যব্যাপী করোনার সাম্প্রদায়িকীকরণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাবলিগিদের গুলি করে মারার ও মসজিদে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে মারার কথা এফবিতে পোস্ট করে বরখাস্ত হয়েছেন শিলচর ডিসি অফিসের বরিষ্ঠ কর্মচারী রজত ভট্টাচার্য। তা ছাড়া, গ্রেফতার হয়েছেন হাইলাকান্দির লালার বাসিন্দা সুচরিতা নাথ।
সরকার যখন ঐক্যবদ্ধভাবে করোনার মোকাবেলা করার আবেদন জানাচ্ছে, তখন কতিপয় ব্যক্তির করোনা নিয়ে সাম্প্রদায়িকীকরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন জনগণ। উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যে ২জন, অরুণাচল প্রদেশে ১জন, মিজোরামে ১জন করোনা আক্রান্তর খবর পাওয়া গিয়েছে। নাগাল্যান্ড ও মেঘালয় রাজ্যদ্বয়ে এখনও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।