গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ৫টি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। প্যাকেজগুলোতে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি -এ চারটি কার্যক্রম নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন তিনি। ৫টি আলাদা প্যাকেজ করলেও প্রবাসিদের অল্প পরিমাণের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া আলাদা কোন প্যাকেজ না থাকাতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসিরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তেমনটি জানালেন শীর্ষ রেমিটেন্স পাঠানো দেশ সৌদি আরবের প্রবাসিরা-
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ-১: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল–সুবিধা দেওয়া, ব্যাংক–ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেওয়া। প্রবাসিদের টিকানো দেশের স্বার্থে দরকার জানালেন আমিরাত প্রবাসিরা।
প্যাকেজ-২: ক্ষুদ্র (কুটিরশিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল–সুবিধা প্রদান: ব্যাংক–ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হবে।
প্যাকেজ-৩: বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো: ব্লক টু ব্লক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি–সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।
প্যাকেজ-৪: প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণসুবিধা চালু করবে। এ ঋণসুবিধার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ।
প্যাকেজ-৫: এর আগে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা পরিশোধ করার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের প্রায় দেড়কোটি মানুষ প্রবাসে থাকেন। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সে টিকে আছে দেশ। বেশিরভাগ প্রবাসি মধ্য বা নিম্ন আয়ের হওয়াতে এই মহামারির সময় তারার বিপদের সম্মুখিন হবে। এতে বাধাগ্রস্ত হবে রেমিটেন্স শিল্প। দেশের রেমিটেন্স টিকাতে প্রবাসিদের জন্য আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করার দাবি মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসিদের।