১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১২টা ১ মিনিটে এই খুনির ফাঁসি কার্যকর হয় বলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা নিশ্চিত করেন।
ফাঁসি কার্যকর উপলক্ষে শনিবার প্রস্তুতি শেষ করে কারা কর্তৃপক্ষ। এই দিন জল্লাদ শাহজানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের টিমকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকরের জন্য একাধিকবার ট্রায়াল দেওয়া হয় ফাঁসির মঞ্চে।
কেরানীগঞ্জে স্থাপিত নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে এটিই প্রথম কোনো দণ্ডপ্রাপ্তের ফাঁসি কার্যকর হলো। ফলে কুখ্যাত এই খুনীর ফাঁসির মধ্য দিয়ে জাতির কলঙ্কমোচনের পাশাপাশি ইতিহাসের অংশ হয়ে রইল কারাগারটি।
উল্লেখ্য , ২২-২৩ বছর ধরে ভারতে ছিলেন খুনি মাজেদ। সেখান থেকে চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকা খুনি মাজেদকে গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হল। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন।