কুয়েত সরকার তাদের দেশের অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। আমাদের প্রতিনিধি সাদেক রিপন জানান, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের দুই লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীরা কোন প্রকার জেল অথবা জরিমানা প্রদান করা ছাড়া দেশে যেতে পারবে।।বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল হতে ২০ এপ্রিল এর মধ্যে নিদিষ্টি সময়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
যে সকল অবৈধ অভিবাসীরা সাধারণ ক্ষমার সময়ে কুয়েত ত্যাগ করবেন তারা নতুন ভিসা নিয়ে পুনরায় কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে । এর মধ্যে কারো নামে যদি কুয়েত ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা থাকে অথবা ফৌজদারি মামলা থাকে তারা এই সুবিধা গ্রহন করতে পারবে না বা সাধারণ ক্ষমার আওয়তায় আসবে না। করোনা ভাইরাস বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশটির ফরওয়ানিয়া একালার ব্লক ১ এর আলাদা দুইটি স্কুলে এই কার্যক্রম ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে।পুরুষদের জন্য আল মুথানা প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালক) ব্লক-১ রোড নাম্বার-১২২। মহিলাদের জন্য ফরওয়ানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (মেয়ে) ব্লক -১, রোড নাম্বার- ৭৬।সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সপ্তাহে ৭ দিন খোলা থাকবে।যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে মূল পাসপোর্ট যদি থাকে অথবা পাসপোর্ট ফটোকপি,৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি বেকগ্রাউন্ড নীল অথবা কুয়েতের সিভিল আইডি বা সিভিল আইডির ফটোকপি তাও না থাকলে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র বা ফটোকপি থাকলেও চলবে। কোন ধরণের কাগজ পত্রের জন্য এম্ভাসিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই সরাসরি নিদিষ্ট সময়ে নিদিষ্ট স্থানে যোগাযোগ করতে হবে। অবৈধ অভিবাসীদের কে বিমান টিকেট তথা যাবতীয় খরচ কুয়েত সরকার বহন করবে।কার্যক্রম শেষ হতে যে কয়দিন সময় লাগে সেকয়দিন তাদের নির্ধারিত স্থানে থাকতে হবে সে ক্ষেত্রে থাকা ও খাওয়া কুয়েত সরকার বহন করবে।তাই যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কাপড় চোপড় ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশের নাগরিকদের ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্য্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালেে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছিল কুয়েত সরকার