রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
হিথরো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু  » «   এনসিপির ভোটারদের বয়স ১৬ ও এমপিপ্রার্থীদের ২৩ চায় কেনো?  » «   গাজার পর লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল  » «   ইউরোপের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের বড় উত্থান  » «   হাসনাত আব্দুল্লাহ’র অভিযোগ, আতঙ্ক: আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা চলছে  » «   হিথ্রো বন্ধ, মাঝপথ থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট  » «   ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটিতে দেশ  » «   সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, দেশে ফিরতে বাধা নেই  » «   ধর্মীয় উগ্রবাদ ঠেকাতে না পারলে ফের গণতন্ত্রের কবর হবে: তারেক রহমান  » «   জাতীয় পার্টির ইফতারে হামলা: দেশ ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে, এই সরকার দ্রুত বিদায় নিলেই মঙ্গল: জি এম কাদের  » «   আবার ‘জিয়া উদ্যান’ হলো ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’  » «   বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম ‘চান না’ সিলেটের আতাউর  » «   মহাসড়কে প্রবাসী গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি : নজরদারি বাড়ানের দাবি, অতিরিক্ত ৭০০ পুলিশ মোতায়েন  » «   রাজধানীতেই আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়! অনুমোদন পেল ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’  » «   আরসা প্রধান জুনুনিকে গ্রেপ্তারের দাবি র‌্যাবের  » «  

ভালোবাসি বেঁচে থাকা ভালোবাসি এই পৃথিবী



 

আমরা একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।এমন অভিজ্ঞতা এর আগে কোনোদিন হয়নি।কখনো হবে এমনটাও ভাবিনি কোনোদিন।কিন্তু হলো।আমরা ঘরবন্দি হলাম।টিভি খুললেই শুনতে পাই মৃত্যুর খবর।আমার খারাপ লাগে।কিন্তু সেটা খুবই ক্ষণস্থায়ী।অথচ খারাপ লাগাটা আরো গভীর হওয়া উচিত।আমার গভীর কিছু অনুভব হয়না।বরং প্রতিটা মৃত্যুই আমাকে ভীত করে।আমি ভয় পাই।নিজের মরণের ভয়।বাঁচতে চাই আরো অনেক দিন,বছর।আমার আবার আনন্দ ও হয়।ঘরবন্দী হওয়ার আনন্দ।

পুরো পৃথিবী জুড়ে যখন সকল মানুষ একইভাবে ঘরবন্দী হয়েছে ভাবি, তখন আমার অদ্ভুত আনন্দ হয়।ব্যবসায়ী,ব্যাংকার,শিক্ষক, উকিল সবাই নিয়মঘেরা জীবন ফেলে সময় কাটাচ্ছে তাদের পরিবারের সাথে।ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার কোনো তাড়া নেই।যখন দেখি একেকজন ডাক্তার একেকজন যোদ্ধা হয়ে সমস্ত ভয় জয় করে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে,আমার প্রচন্ড আনন্দ হয়।যখন দেখি কিছু স্বেচ্ছাসেবক শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে মাইক হাতে নিয়ে সচেতন করে যাচ্ছে যেনো প্রতিটা প্রাণ নিরাপদে থাকে, আমার মনে হয় এমন আরো অনেক কিছু দেখবো বলেইতো বেঁচে থাকতে হবে।

এই সময়ে কষ্টটা হয়ে গেলো শুধু খেটে খাওয়া লোকদের।আমার তাঁদের জন্য কষ্ট হয়।কিন্তু সেটাও যে খুব গভীর তা কিন্তু নয়।গভীর হলে হয়তো এখন স্থির বসে থেকে ধৈর্য ধরে এই লিখাটা চালাতে পারতাম না।বহু বছরে মনের মধ্যে যে জং ধরেছে, যে যান্ত্রিক দূষণে দূষিত হয়ে আছে তা এতো সহজে মুছে কি করে!!তবে আমি বিশ্বাস করি এটাই সর্বোচ্চ সময় আমাদের খোলস ছেড়ে নতুন রুপে নিজেকে চেনার নিজেকে জানার।আমার এটা ভেবেই প্রচন্ড আনন্দ হয় যে এই দুঃসময়টা যদি আমরা কোনোমতে কাটিয়ে উঠতে পারি অনেকগুলো নতুন ‘মানুষের’ আবির্ভাব ঘটবে।জীবন এবং মরণের মাঝখানে থেকে যে জীবন একবার কেউ দেখে নেয় তার চোখেতো জীবনের মানেটাই বদলে যাবে।

গত ১৩ মার্চ থেকে আমার সর্দি, জ্বর,কাশি। এর মধ্যে নিজস্ব কিছু ব্যস্ততা ও ছিলো।১৮ তারিখ থেকে ফাইনালি বুঝতে পেরেছি আমি সত্যি অসুস্থ।নিজেই নিজেকে সচেতন করি।বার বার হাত ধুয়া,চেখে মুখে হাত না দেয়া মেনে চলার চেষ্টা করতে থাকি।তিনচারদিন বের হইনি কোথাও।ডাক্তার বন্ধুর পরামর্শে মেডিসিন নিয়ে যখন কিছুটা ভালো বাসায় চলে এলাম।রাস্তাঘাট নিরব নিস্তব্ধ দেখে জীবনটাকে অন্যরকম লাগতে লাগলো।কেনো জানিনা আমি অদ্ভুত এক শান্তি পাচ্ছি ভেতর ভেতর কিংবা আমার ভেতরটা একদম শান্ত হয়ে গেছে।

শুনেছি, সমুদ্রে ডলফিনদের দেখা গেছে,আকাশে নানান পাখির উড়াউড়ি চলে।আমার ভাল্লাগে।সত্যি ভাল্লাগে।মনে হয় অনেক কিছু করতে হবে।আমায় বাঁচিয়ে দাও আল্লাহ।আমি বাঁচতে চাই।এই পৃথিবীর উপর রহমতের দৃষ্টি দাও আল্লাহ।পৃথিবীকে সুস্থ করে দাও।হতেওতো পারে আমরা আর কখনো অসুস্থ ই না করলাম পৃথিবীটাকে।পৃথিবী সুন্দর,জীবন সুন্দর,তুমি সুন্দর, আমি সুন্দর,আমরা সুন্দর।ভালোবাসি বেঁচে থাকা,ভালোবাসি এই পৃথিবী।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন