মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
সাংবাদিক আব্দুল বাছিত রফির পিতা হাজী মো: আব্দুল হান্নান এর মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক  » «   বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  » «   ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটির উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ  » «   হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «    সাকিব : নক্ষত্রের কক্ষচ্যুতি  » «   লন্ডনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান ৬ অক্টোবর রবিবার  » «   ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান ২০ অক্টোবর ভিক্টোরিয়া পার্কে  » «   ৭৫ শেফ এর অংশগ্রহণে বিসিএর শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   ৩০ বছরেও ধরা পড়েনি কোনো আসামী, বিচারের দাবীতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন  » «   ইস্টহ্যান্ডসের ফ্রি স্মার্ট ফোন পেলেন ৪০ জন  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য পদক ২০২৪’পেলেন কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক ফারুক আহমেদ রনি  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসে হোমলেসনেস-এর প্রস্তাবিত নতুন পলিসি সাসপেন্ড করেছেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর  » «   লন্ডনে বিসিএ এ্যাওয়ার্ডস ২৮ অক্টোবর থাকছে নানা চমকপ্রদ আয়োজন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

পৃথিবীর পথপ্রদর্শক



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

অনেকদিন আগে এক দরিদ্র দেশে  ফ্লু-এর মহামারী দেখা দিয়েছিল। সেই দেশটি বহু বছর লুটেরাদের দখলে ছিল, মাত্র কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল। তাদের না ছিল ডাক্তার, না ওষুধ…হাসপাতাল… কিছুই ছিল না।
প্রতিদিন মানুষ মরছে, বুড়ো বুড়ি তরুণ শিশু… কেউ বাদ যাচ্ছে না।
সেই দেশের নেতা ইউরোপ আর আমেরিকার সব দেশের কাছে ডাক্তার নার্স ওষুধ সাহায্য চাইলেন। ইউরোপীয়রা কোন সাড়াই দেয় নি।
লাতিন আমেরিকার দুয়েকটা দেশ সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল।

সেই মহা দুর্যোগের কালে সেই দরিদ্র দেশটির তরুণ নেতা সিদ্ধান্ত নিলেন— দেশের প্রতি ২৫ জনের বিপরীতে ১ জন ডাক্তার থাকতে হবে নইলে স্বাস্থ্যসেবা উপযুক্ত হবে না, দেশটাও বিপদে থাকবে।

তারপর মহা পরাক্রমশালী প্রতিবেশী দেশের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সেই দেশ এগিয়ে চললো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে সর্ব্বোচ্চ বিনিয়োগ, দেশটা খুবই দ্রুত নিরক্ষরতার অভিশাপ মুক্ত হলো, শত শত ডাক্তার নার্স দেশ সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়লো।

তারপর সেই দেশটার নেতা ঠিক করলেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আয়ত্ত্বে আনতে হবে— মানুষ বাঁচানোর প্রযুক্তি, মানুষ মারার প্রযুক্তি নয়।

সব বাধা উপেক্ষা করে দেশটা বায়োটেকনোলজি আর জেনেটিক্সে দুর্দান্ত অগ্রগতি অর্জন করলো, মেনিনজাইটিস এর টীকা উদ্ভাবন করলো… তারা লাং ক্যান্সার এর চিকিৎসাতেও দারুণ সফল, ভাইরোলজিতে ও ইন্টারফেরন আল্ফা ২বি উদ্ভাবন করেছে…

তারপর একদিন সেই দেশের সেই তরুণ নেতা যিনি এতদিন বাদে বৃদ্ধ হয়েছেন, তিনি দেহ রাখলেন।

তারপর নতুন নেতারা দেশের হাল ধরেছেন কিন্তু নীতির পরিবর্তন হয় নি।

তারপর বিশ্বজুড়ে কোরোনা ভাইরাসের মহামারি। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আর ধনী দেশগুলি যখন বাঁচার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে তখন সেই ছোট্ট দেশটি এগিয়ে এসেছে ডাক্তার নার্স ওষুধ নিয়ে।
যে ইউরোপ একদিন তাদের মহা বিপদে ফিরেও তাকায় নি সেই ইউরোপ আজ এই ছোট্ট দেশটির ডাক্তার ওষুধের আশায় আশায় দিন গুনছে।

এই ছোট্ট দেশটা ওষুধের পেটেন্ট করলেই বিশাল ব্যবসা করতে পারতো— করে নি। মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবসার ক্ষেত্র নয়— এটাই তাদের নীতি।

এই দেশের নাম কিউবা, সেই নেতার নাম ফিদেল কাস্ত্রো।

লেখক : ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক