করোনাভাইরাস রোধে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সারাদেশে লকডউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৩ মার্চ) এই ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আগামী ২৬ মার্চ যে সাধারণ ছুটি আছে, তার সঙ্গে সরকার ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
তিনি আরো জানান, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবা চালু থাকবে। করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকাতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, তারা যেন এসময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়।
সারাদেশে লকডাউন ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে- আগামী ২৬-২৮ মার্চ হতে (স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি ছুটিসহ) ৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আওতায় সীমিত আকারে সরকারি অফিসসমূহ পরিচালিত হবে। কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ অনলাইনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবেন এবং অফিস কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এ সময়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ অত্যন্ত সীমিত আকারে চলাচল করবে।
এছাড়াও বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নার্স, সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মচারী এবং জনপ্রতিনিধিগণ সমন্বিতভাবে স্থানীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবেন বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীকে সব জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এ বিষয়ক কার্যক্রম সমন্বয়ের নির্দেশনা এবং সব জিওসিকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংককে সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য সীমিত আকারে সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকিং সময় নির্ধারণ করে অফিস আদেশ জারি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে সবাই ঘরে অবস্থান করবেন, কোথা বের হবেন না। জনসমাবেশ পরিহার করবেন।