নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রভাবশালী এক আ.লীগ নেতার ব্যক্তিগত ড্রাইভারের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী পোশাক শ্রমিকের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছেন। ওই ড্রাইভারের নাম নুরুল ইসলাম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতির গাড়ি চালান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ পাইলট স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে পুড়িয়ে দেয়া স্বামী পরিত্যক্তা ওই পোশাক শ্রমিকের বাড়ি বরিশালে। তিনি পাইলট স্কুল এলাকার আলী আহম্মদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে স্থানীয় মেরিনা গার্মেন্টে চাকরি করে জীবিকা নিরবারহ করেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী স্বামী পরিত্যক্তা হয়েও জীবিকা নির্বাহের জন্য সংগ্রাম করছেন। কারও কাছে হাত না পেতে জীবনযুদ্ধে মেরিনা গামেন্টসে চাকরি নিয়েছেন। তার সংসারে একটি মেয়ে ছিল। তাকে বিয়ে দিয়ে ভাড়াটিয়া বাসায় তিনি একা বসবাস করেন। তার একা থাকার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নুরুল ইসলাম তার প্রতি কু-নজর দেয়।
নুরুল ইসলাম ওই নারীকে অনেকদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। নুরুল ইসলাম প্রায় সময় ওই নারীকে কু-প্রস্তাবও দিতেন। তবে তিনি (নারী) রাজি হননি। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গামেন্টস ছুটি শেষে ওই নারী বাসায় যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে রাস্তা গতিরোধ করেন নুরুল ইসলাম। এসময় তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ওই নারীর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ওই নারী চিৎকার করে মাটিতে গড়াগড়ি করে নিজে বাঁচার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ততক্ষণে নুরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, নুরুল ইসলাম প্রায় সময় ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিতো। ওই নারী হলো স্বামী পরিত্যক্তা। আর নুরুল ইসলামের স্ত্রী সন্তান রয়েছে। তারপরও তিনি তাকে উত্ত্যক্ত করতো এমন অভিযোগ রয়েছে।
রোববার রাতে ওই নারীর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা নুরুল ইসলামের কথা বলছেন। আমরা ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।