প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কুয়েত সরকার তাদের দেশের জনগণ ও বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।স্কুল, মাদ্রাসা চলতি মাস পুরো বন্ধের রাখার কথা থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার দেশটির তথ্য মন্ত্রনালয় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সময় বাড়িয়ে স্কুল মাদ্রাসা আগামী আগস্টের ৩ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে । পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটিতে দুই সপ্তাহ সাধারণ ছুটি চলছে। এসময়ে সব ধরণের অনুষ্ঠান, সভা সেমিনার যে সকল স্থানে লোকসমাগম বেশি হয় সেই সব স্থান সহ সব ধরনের ফ্লাইট, গগণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্যাংক, মসজিদ, বিনোদন কেন্দ্র গুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বন্ধের আওতায় থাকবে না কার্গো বিমান, কো- অপারেটিভ সোসাইটি, ফার্মেসী, পেট্রল পাম্প, এটিএম বুথ খোলা থাকবে এছাড়াও খাবার হোটেল গুলো হোম সার্ভিস ও পার্সেল বিক্রি করতে পারবে তবে ভিতবে বসে খেতে পারবেনা।এছাড়াও জরুরী যে সকল দোকানপাট খোলা রয়েছে সে সকল দোকানে এক সঙ্গে ৫ জনের বেশি কাস্ট্রমার প্রবেশ করতে পারবে না। ঘরে থাকতে বলা হয়েছে এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হতে এবং অধিক লোক এক সঙ্গে ঘুরাঘুরি করতে নিষেদ করা হয়েছে ।এখনো পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দূতাবাস পক্ষ হতে প্রবাসীদের কে আতংকিত না হয়ে সচেতনা হতে বলা হয়েছে এবং দুতাবাত ও কুয়েত সরকারের গ্রহিত আইন ও দিক নির্দেশনা মেনে চলতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যেকোন ধরণে তথ্য ও পরামর্শের জন্য দুতাবাসের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
কুয়েতে করোনাভাইরাসে বিষয়ে কোন আইন লঙ্ঘন করলে ৫০০০ দিনার জরিমানা ও ৩ মাসের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যে কেউ করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে থাকবে লোকসমাগমে ঘুরে বেড়াবে তাকে ৫ বছরের কারাদন্ড এবং ১০,০০০ – ৫০,০০০ দিনার জরিমানা করা হবে।
দেশটির সরকার তাদের জনগণ ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের নিরাপত্তার প্রচার প্রচারণা করছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা বিস্তার রোধে কড়া নজরদারি করছে।