প্রতিদিনই কানাডায় বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। দুই দিনে দুই দিনে ১৩৮ থেকে বেড়ে ১৯৩ তে দাড়িয়েছে। এর মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফিও আছেন। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে করোনা ভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নর্থ ভ্যান্কুবারে লিন ভ্যালি কেয়ার সেন্টারে মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৮০ বছর। উনি বিভিন্ন রোগের ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৯৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ অন্টারিও প্রদেশে ৭৯ জন, ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ৬৪ জন, আলবার্টায় ২৯ জন, ক্যুইবেকে ১৭ জন, ম্যানিটোবায় ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে সরকারি ওয়েবসাইট। এছাড়া ৬ জনকে সম্ভাব্য হিসেবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে ম্যানিটোবা, সাসকাচুয়ানে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারো খোজ পাওযা যায় নি।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৯৩ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী, ৪০ এর অধিক বয়সী ৭৩ শতাংশ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ শতাংশ, ভ্রমণজনিত কারণে ৭৫ শতাংশ এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ১০ শতাংশ।
করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ইতিমধ্যে বেশীরভাগ স্কুল, মসজিদ বন্ধ, সংসদ অধিবেশন স্থগিতের পর অন্টারিও বিভিন্ন শহরে পর এবার একের এক ডে কেয়ার, লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, গ্যালারি, ক্যাসিনিউ, নায়গ্রা ফল, সিএন টাওয়ার, খেলাধুলা সহ ইত্যাদি এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ক্যুইবেকে ২৫০ এর অধিক যেকোন জন সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের পরে সরকারী কর্মকর্তা বাধ্যতামুলক স্বেচ্ছা আইসোলেশন এ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মন্ট্রিয়লে সেন্ট প্যাট্রিকস প্যারাডে এবং বড় ধরণের অনেকগুলো ক্রীড়া অনুষ্ঠান পেছানো হযেছে।
তথ্যসূত্র: দ্যা কানাডিয়ান প্রেস।