কাতারে করোনা আক্রান্ত ৩৩৭,প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক ,সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাতার মেট্রোরেল,গণপরিবহন বাস সেবা বন্ধ রয়েছে(প্রতিবেদন)
কাতারে করোনা আক্রান্ত ৩৩৭,প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক ,সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাতার মেট্রোরেল,গণপরিবহন বাস সেবা বন্ধ রয়েছে, ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত বুধবার এক দিনে দেশটিতে ২৩৮ জনসহ এ নিয়ে কাতারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩৭ জনে।আর প্রথম করোনা আক্রান্তের যাত্রী ইরান থেকে ফিরেছিলেন।ফলে সারাবিশ্বের মত কাতারেও মাস্কের সংকট দেখা গেছে।তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাতার মেট্রোরেল,গণপরিবহন বাস সেবা দুই দিন বন্ধ থাকবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।করোনার অস্তিত্ব পাওয়ায় ইতিমধ্যে কিছু মার্কেট ও হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে এমন ভয় থেকে সতর্কতা হিসেবে গত সোমবার বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের নাগরিকদের কাতার প্রবেশের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।বিস্তার ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কাতার শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আবার প্রবাসী বাংলাদেশিরা হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণার পর আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় চেষ্টা করেছে অনেকেই।
৯ মার্চ দূতাবাসের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ জানান, বাংলাদেশে অবস্থান কালে যদি কোনো প্রবাসীর ভিসা বা আইডির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিবে কাতার বাংলাদেশ দূতাবাস। এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাতায়াত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।যে কোন প্রয়োজনে দূতাবাসের হট লাইনে (৩৩৬৬ ২০০০) যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের থাকা প্রবাসীরা,হোটেল মুটেল ও টুরিজম খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।ফলে চলমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের লোকসানের আশংকায় আছে ব্যবসায়ীরা।আর প্রবাসীদের আতঙ্কিত না হয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে আহ্বান জানান বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
তাছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন সচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।সংক্রমণ রোধে কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।