“একুশ আমার ভাষা আমার অহংকার “এই মূলমন্ত্র কে ধারণ করে ইতালির রাজধানী রোমের সঞ্চারী সঙ্গীতায়ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আগামী প্রজন্মের কাছে বাঙালি ও বাংলা ভাষার ইতিহাস জানাতেই তাদের এই আয়োজন। আয়োজনে শিশু কিশোরীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে ৫২র ভাষা আন্দোলনের পেক্ষাপট। এর সঙ্গে ভিন্ন ভাষাভাষীর শিল্পীরা বাংলা ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফানুল হক। সঞ্চারী সঙ্গীতায়নের কর্ণধার সুস্মিতা সুলতানার পরিচালনায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জামান মুক্তার, দিন মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ক্রীয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, বৃহত্তর ঢাকা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমেদ, এফ এ ও র কর্মকর্তা বাসাররত আলী এবং ইয়াসমিন আলী, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়না আহমেদ, উম্মেহানি চৌধুরী, শামিম পপি, মেহেনাস তাব্বাসুম শেলি, সায়েরা হোসেন রানী, শাহিনা মান্নান সহ অনেকে।
প্রধান অতিথি বলেন” একুশ মানের মর্যাদা, একুশ মানেই সম্মান, বাঙালি জাতি তাদের মর্যাদা ও সম্মান কে ধরে রাখতেই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। আজ এই ভাষাকেই যদি আমরা সম্মান করতে চাই, প্রতিষ্ঠা করতে চাই , ছড়িয়ে দিতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের কে প্রতিটি ক্ষেত্রে সত ও সততার পরিচয় দিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সেই মর্যাদা ও সম্মান কে ধরে রাখতে হবে। আর লক্ষেই করতে হবে কাজ।”
আয়োজক ও কর্ণধার সুস্মিতা সুলতানা এবং ইফতেখার আলম কনক তাঁদের সংগটনের কার্যক্রমের কথা তোলে ধরেন তাদের আলোচনায়। ” প্রায় দেড় যুগ ধরে সাংস্কৃতিক তথা বাংলা কৃষ্টিকে প্রবাসে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই একাডেম ছয় বছর থেকে আমার ভাষা আমার অহংকার শীর্ষক বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা আগামী প্রজন্ম যেন বাংলা ভাষার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেই সঙ্গে বাংলা সংস্কৃতিকে ভালবেসে তা আত্মঃস্থ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। এখানে শুদ্ধ সুরে ও উচ্চারণে বাংলা গান, কবিতা শেখানো হয়।” এ কথাগুলোই উঠে এসেছ আয়োজকদের আলোচনায়।তারা কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন সেই সঙ্গে ইতালিয়ান, ইংরেজীর মতোন বাংলা কে ও সমান ভাবে গুরুত্ব দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য প্রায় অর্ধ শতাধিক শিশু কিশোরেরা এই একাডেমিতে রয়েছে। বাংলা ভাষা ও ইতিহাস বিশেষ দিবস গুলো এই একাডেমি উদযাপন করে আসছে একনিষ্ঠ ভাবে। আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ইতালিয়ান একজন অন্ধ রবীন্দ্র সঙ্গীতের শিল্পী “জুলিয়া”। তাঁর কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হয়েছেন, গর্ববাধ করেছেন উপস্থিত অিতিথিসহ সকলেই।।
শেষে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়া সহ সকল শিশু কিশোরের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথি বৃন্দ।