গেল বছর আগস্ট মাসে কাতারে বাংলাদেশিদের হাতে এক নেপালি নাগরিক খুনের ঘটনাসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।পরবর্তীতে দু’দেশের মধ্যে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সকল জটিলতা কাটিয়ে নতুনভাবে উন্মোচিত হচ্ছে কাতারের শ্রমবাজার।
গত ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি কাতার সফরকালে প্রবাসীকল্যাণ সচিব সেলিম রেজার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়ের সাথে দুই দেশের যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয় কাতার।এক্ষেত্রে, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
রেমিট্যান্স প্রেরণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা ব্যাপক ভূমিকা রাখছে তাই প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন অপরাধ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি নতুন করে ভিসা চালু করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
অন্যদিকে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,কাতার শূন্য খরচে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।তবে যেসব কোম্পানি খরচ বহন করবে না, সেখানে ১ লাখ ৭৮০ টাকা সরকার নির্ধারিত খরচে কর্মী আসতে পারবে।
তিনি আরো বলেন,কাতার বৃহত্তম পরিবহন সেবা প্রতিষ্ঠান মোয়াসালাতে গাড়িচালক, সিকিউরিটি সার্ভিস, কৃষিখাত,
,নার্সসহ বিভিন্ন সেবা খাতে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।আর দু’দেশের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে।
কাতারে ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ফলে কাতারে এখন শুধু দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন।আর দূতাবাসের তথ্যমতে বর্তমান কাতারে সারে চার লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে।