অমর একুশে গ্রন্থমেলার পঞ্চম দিন গেল কাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। মেলার পঞ্চমদিনে দুই প্রাঙ্গণই দেখা গেছে বিকেলে কিছুটা ফাঁকা ফাঁকা। তবে সন্ধ্যা নামতেই চারদিকে মুখরতা। প্রচুর পাঠক, বইপ্রেমী আর লেখক, সাহিত্যিকরা ভিড় জমান সন্ধ্যার পর। প্রতিদিন নতুন নতুন বই আসলেও এখনও জমে ওঠেনি এবারের বইমেলা। মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের খুব বেশি আনাগোনা নেই।
বইমেলার প্রথম পাঁচ দিনে নতুন বই এসেছে ৩৩২টি। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার এসেছে ১১৮টি।মেলার প্রথমদিক হওয়ায় বিক্রি খুব একটা নেই, তাই বেশিরভাগ স্টলগুলোতে বিক্রয়কর্মীরা অলস সময় কাটিয়েছেন । তবে দু-একদিনের মধ্যেই জমে উঠবে বইমেলা, এ আশাবাদ সকলেরই।
আজ শুক্রবার এবারের গ্রন্থমেলার প্রথম শুক্রবার । আর ছুটির এ দিনে বইমেলা ফিরে পাবে তার চিরচেনা রূপ। হাজার হাজার পাঠকের আনাগোনায় ভরে উঠবে মেলার দুই প্রাঙ্গণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি। হবে বইয়ের বিকিকিনি। এমনটাই আশা করছেন প্রকাশক আর লেখকরা। দিনটির জন্যই মুখিয়ে আছেন তারা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বইমেলা। এবার পুরো বইমেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ।
বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। লিটল ম্যাগাজিনকে ১৫২টি স্টল বরাদ্দ ছাড়াও ছয়টি উন্মুক্ত স্টল রাখা হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। ছুটির দিন মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।
প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে ২৫টি বই প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। নতুন এসব বই নিয়েও আলোচনা করা হবে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।