দেশ স্বাধীন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা আর দেশ টিকিয়ে রাখছেন প্রবাসীরা। তাই বৈধপথে যারা টাকা পাঠায় তাদের সরকারি আলাদা একটি পরিচয়পত্র দিয়ে বিমানবন্দরসহ নানা জায়গায় অতিরিক্ত মূল্যায়ন করতে হবে। আমিরাতের আজমানে কুমিল্লা-২, হোমনা তিতাস প্রবাসীকল্যাণ পরিষদের অভিষেক ও সংবর্ধনায় এ কথা বলেছেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কুমিল্লা ২ আসনের সাংসদ সেলিমা আহমদ মেরী এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলেন– প্রবাসীদের জান মালের নিরাপত্তা দেয়া সহ তাদেরকে দেশের মানুষের মতো সেবা দিতে আমি এ সংগঠনের জন্ম দিয়েছি। এমন সংগঠন বাংলাদেশের প্রতি সংসদীয় আসনে হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে।
শুক্রবার আজমানের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল আলম মিয়া। ৫২ বাংলা টিভির সংবাদপাঠিকা তিশা সেনের পরিচালনায় শুরুতে জাতীয় সংগীতে নেতৃত্ব দেন একাত্তর টিভির প্রতিনিধি লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুকবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক এসডি তারিকুল ইসলাম দূর্জয় এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ব্ক্তব্যে এফবিসিআই এর সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন- প্রবাসীরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করতে চাইলে নিজ এলাকায় শুরু করতে পারেন। সে জন্য যাবতীয় সহযোগিতা তিনি করবেন বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন হোমনার কৃতী সন্তান তারিকুল আমিন। উদ্বোধক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মহিউদ্দিন খন্দকার এবং প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারী উদ্যোক্তা নাজমা জামাল, সিআইপি মাহাবুল আলম মানিক, মোস্তাফা কামাল, নুরুল ইসলাম, ফিরুজ খান, মনির হোসেন, মোশারফ হোসেন ফারুক, আইয়ুব নবী, এটি এম সেলিম, আবুল হোসেন, শাহনাজ বেগম, মামুন খালেদ আক্তার, জাকির হোসেন, আলাউদ্দিন, সাইফুদ্দিন, অলি আহমেদ, মাইন উদ্দিন, ওমর ফারুক, রিগেন মোল্লা, মো. স্বপন, ছিদ্দুকুর রহমান, মো. ফারুক, আবু হানিফ, আল আমিন, মো. জামান, রহমত উল্লাহ, হানিফ, সবুজ, মমিন, আবুল কালাম আজাদ , জামাল, বিলাল সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন- মেরী এমপি নিজের এলাকার প্রবাসীদের কল্যাণে পরিষদে করে দেশে ইতিহাস তৈরী করেছেন এটি যদি দেশের প্রতিটি এলাকায় করা হতো দেশের প্রবাসীদের মূল্যায়ন আর অধিকার আদায় সহজে করা যেতো।
পরে সাংসদকে সম্মাননা স্মারক এবং তার প্রতিকৃতি আঁকা শুভেচ্ছা তোলে দেয়া হয়।