কানাডায় পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার পায় না প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। ক্ষুধার কারণে অনেক মানুষ গড় আয়ু পর্যন্ত যাওয়ার আগেই মারা যায়। দেশটিতে ক্যানসারের পরই মৃত্যুহার বাড়ার অন্যতম কারণ হলো ক্ষুধা।
কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এএফপির খবরে বলা হয়, কানাডার যেসব নাগরিক প্রতিদিনের খাবার জোটাতে পারে না, তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি।
কানাডার প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ওপর করা এই জরিপে দেখা গেছে, খাবার জোটাতে যারা সমর্থ, তাদের তুলনায় যারা সমর্থ নয়, তাদের মধ্যে সংক্রামক রোগ, অনিচ্ছাকৃত আঘাত ও আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ।
নিবন্ধের লেখক টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো লিড ফেই মেন থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, প্রথম বিশ্বের দেশে আমরা তৃতীয় বিশ্বের মতো সমস্যা খুঁজে পেয়েছি।
তিনি বলেন, কানাডার মত উন্নত দেশে অপর্যাপ্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারনে লোকজন সংক্রমণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে ও মাদক সেবনের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, যেমনটা আমরা উন্নয়নশীল দেশে দেখা যায়। কানাডার মতো উন্নত বিশ্বে খাবারের অনিশ্চয়তার এখনও মৃত্যুর কারণ।
কানাডার গবেষণায় গবেষকরা অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের উপর গবেষণা করেছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষ গড় বয়সের আগে মারা গেছেন। ২০১৯ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষায়ও একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটির বেশি মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবারের অভাবে থাকে এবং এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। এই জনগোষ্ঠীর আট শতাংশই উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর মানুষ।