বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
সাংবাদিক আব্দুল বাছিত রফির পিতা হাজী মো: আব্দুল হান্নান এর মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক  » «   বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  » «   ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটির উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ  » «   হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «    সাকিব : নক্ষত্রের কক্ষচ্যুতি  » «   লন্ডনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান ৬ অক্টোবর রবিবার  » «   ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান ২০ অক্টোবর ভিক্টোরিয়া পার্কে  » «   ৭৫ শেফ এর অংশগ্রহণে বিসিএর শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   ৩০ বছরেও ধরা পড়েনি কোনো আসামী, বিচারের দাবীতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন  » «   ইস্টহ্যান্ডসের ফ্রি স্মার্ট ফোন পেলেন ৪০ জন  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য পদক ২০২৪’পেলেন কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক ফারুক আহমেদ রনি  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসে হোমলেসনেস-এর প্রস্তাবিত নতুন পলিসি সাসপেন্ড করেছেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর  » «   লন্ডনে বিসিএ এ্যাওয়ার্ডস ২৮ অক্টোবর থাকছে নানা চমকপ্রদ আয়োজন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

পরবাসে দূর করেন অন্ধকার, ড. হাবিবুল হক খন্দকার



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ছবি: তিশা সেন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ জন বাংলাদেশি অধ্যাপক আছেন। তাঁদের অন্যতম ড. হাবিবুল হক খন্দকার। দেশটির রাজধানী আবুধাবীর যায়িদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তিনি। সরকারি সেরা ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম এ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিনিয়ত পেশার মাধ্যমে মরুর বুকে তুলে ধরেছেন লাল সবুজের বাংলাদেশকে। অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটির মন জাগানিয়া সকল কাজে।

খুলনা শহরে জন্ম নেওয়া অধ্যাপক ড. হাবিবুল হক ২০০৬ সালে যোগ দেন আবুধাবীর যায়িদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে অধ্যাপনায় ছিলেন সিংগাপুরে। সিংগাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দশক সময় ব্যয় করেছেন নিজ পেশায়। তখন সেখানে বাংলাদেশ স্কুল স্থাপন এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির কাছে ছিলেন একজন সজ্জন অভিভাবক হিসেবে। সেখানে রেখে এসেছেন কাজের স্বর্ণালি স্বাক্ষর।

৫২ বাংলা টিভি আজীবন সম্মাননা পান ড. হাবিবুল খন্দকার। তাঁর পক্ষে দুবাইয়ের বিশিষ্টজনেরা এটা গ্রহণ করছেন।

আলোর ফেরিঅলা ড. হাবিব খন্দকার বুকের গহিনে চাষ করেন লাল সবুজের বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সিংগাপুরে করা কাজের প্রতিপলন ঘটাচ্ছেন ১৩ বছর ধরে আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে। বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ স্কুল সহ কমিউনিটির মূলধারার সকল আয়োজনে তাঁর উপস্থিতি এবং বক্তব্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। উপদেশ দিয়ে চালাচ্ছেন অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও।

  • ঠিক সেভাবে দেশের অদম্য কিছু তরুণ প্রাণ সমাজবান্ধব সমাজবিষয়ের মানুষকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বাংলা ভাষায় একটি ম্যাগাজিন প্রকাশনাও করেন তিনি। এক কথায় শুধু আরব আমিরাতে নয় গোটা বিশ্বে তিনি একটি বিপ্লব ঘটাচ্ছেন সমাজবিজ্ঞানে। তরুণদের সমাজবিজ্ঞানে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে এমন চিন্তা তাঁর চলনে বলনে।

শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন তিনি। এরপর কানাডা থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এমএ ডিগ্রীও লাভ করেন কানাডা থেকে। ব্যক্তিজীবনে তাঁর সহধর্মিনীও কানাডা থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। স্ত্রীর সাথে তাঁর জীবনের মিল এখানে। এছাড়া আরেকটি মিল আছে স্ত্রীও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যায়িদ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালিন অধ্যাপক।

সংসার জীবনে তাঁর ১ ছেলে এবং ১ মেয়ে । ছেলে মাস্টার্স শেষ করে বার্লিনে স্বপ্ন ফেরি করেন এবং মেয়ে গণিতবিদ্যায় কানাডায় থাকেন। একজন বাংলাদেশি হিসবে ড. হাবিব শুধু আরব আমিরাত নয় ফ্রান্স, ইতালি, সুইজারল্যান্ড সহ পৃথিবীর নানাদেশে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এমনকি প্রযুক্তিময় এ কালে অনলাইনের মাধ্যমে তিনি আরব আমিরাত বসে থেকে পৃথিবীর নানা দেশে ইংরেজি ভাষায় এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।

আরব আমিরাতে নিজেদের পেশার মাধ্যমে বাংলাদেশকে যাঁরা তুলে ধরেছেন এবং নিজে আলোকিত হয়ে কমিউনিটির কল্যাণেও নিবেদিত কাজ করে যাচ্ছেন ড. হাবিবুল হক খন্দকার তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

শুধু নিজে আলোকিত হয়ে বসে থাকলে হবে না, দেশ ও দশের প্রতি দায়বোধ থাকতে হবে। আর সেই দায়বোধ থেকে সিংগাপুর এবং আরব আমিরাতের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পেশাগত কাজে সিংগাপুর এবং আরব আমিরাতে সরকারি পদকও পেয়েছেন তিনি। তাঁর এসব অর্জনের পেছনে একনিষ্ঠতা আর কর্তব্যপরায়নের কথাও জানালেন তিনি।

  • লেখক :বার্তা সম্পাদক ও পরিচালক-৫২ বাংলা টিভি,প্রতিনিধি-একাত্তর টিভি  

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন