লন্ডনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী গ্র্যাজুয়েট এওয়ার্ড সিরিমনি ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে।লন্ডনের বিখ্যাত কানাডা ওয়াটার এর অভিজাত ‘৩৯ফ্লোরে‘, ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় শতাধিক অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রিটিশ-বাংলাদেশী বংশদ্ভোদ হাইকোট জাজ- আখলাক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন – ক্যানারী গ্রুপ এর চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড ডাওবির। স্যার স্টিপেন থিমস এমপি, ব্রিটিশ- বাংলাদেশী বংশদ্ভোদ এমপি আফসানা বেগম, ইস্ট লন্ডন ইউনিভাসিটি এর ভিজিটিং ল্যাকচারাল মিষ্টার ফ্যামি, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট- মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, চ্যানেল এস এর ফাউন্ডার চেয়ার মাহি ফেরদৌস জলিল ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টার তাজ চৌধুরী, এনটিভি ইউরোপ এর ডাইরেক্টর সরওয়ার বাবু , বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিষ্টার পলিটিকস আ. ফ. ম. জাহিদুল ইসলাম ।
প্রধান অতিথি- আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন- ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিসাবে সকল শাখায় সততা ও নিষ্ঠায় জনগণের সেবা করার প্রত্যয় নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অর্জন দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য তিনি আমাদের পূর্ব প্রজন্মদের অবদানকে সকলের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় রাখার আহবান জানিয়ে বলেছেন- আমি গর্বিত যে- আমি সিলেটি ভাষায় কথা বলতে পারি। এবং প্রতিটি মানুষেরই তার শিকড় সংস্কৃতিকে ধারণ এবং চর্চা করা উচিত। তিনি এওয়ার্ড প্রাপ্ত গ্রাজুয়েটদের সমাজের ভালো কাজে মনোনিবেশ এর আহবান জানান।
এছাড়াও অতিথিরা এওয়ার্ড প্রাপ্তদের কমিউনিটির সেবায় নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার প্রতিও গুরুত্ব দেন।
ক্যানারীওয়ার্ফের এসোসিয়েট ডাইরেক্টর জাকির হোসেন এর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট এর সভাপতি কাউন্সিলার আয়শা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আফতার আহমদ ও ব্যারিষ্টার জেসনা মিয়া ।
পুরো অনুষ্ঠানের কো-অডিনেট এ ছিলেন- মুহিব উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল কামাল, জামাল উদ্দিন, আফতার আহমেদ, পারভেজ শাহ, নাজিম উদ্দিন, হেনা শেখ, সাবিনা খান।
৬০জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ব্যাচেলর এবং মাষ্টার্স ডিগ্রীধারীকে অতিথিরা এওয়ার্ড তুলে দেন। যাদের অনেকে ইতিমধ্যে চিকিৎসা, আইন, শিক্ষা, আইটিতে লিডারশীপ দায়িত্বে মুলধারায় সুনামে কাজ করেছেন। কমিউনিটির সেবায় কাজ করা বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্র্যাজুয়েটরা আগামীতে এধরণের কাজে তাদের সম্পৃক্ততার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন। এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রায় সকলের কথায় ওঠে এসেছে তাদের সাফল্যের পেছনে- তাদের বাবা-মা, শিক্ষক এর নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা এবং তাদের কঠোর পরিশ্রমই সাফল্য অর্জনে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে ব্রিটেনে এবং বাংলাদেশে কমিউনিটির সেবায় কাজ করার আগ্রহের কথাও স্বানন্দে জানিয়েছেন অনেক কৃতি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী।
ছবি : খালিদ হোসেন ; ৫২বাংলা