মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «    সাকিব : নক্ষত্রের কক্ষচ্যুতি  » «   লন্ডনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান ৬ অক্টোবর রবিবার  » «   ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান ২০ অক্টোবর ভিক্টোরিয়া পার্কে  » «   ৭৫ শেফ এর অংশগ্রহণে বিসিএর শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   ৩০ বছরেও ধরা পড়েনি কোনো আসামী, বিচারের দাবীতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন  » «   ইস্টহ্যান্ডসের ফ্রি স্মার্ট ফোন পেলেন ৪০ জন  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য পদক ২০২৪’পেলেন কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক ফারুক আহমেদ রনি  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসে হোমলেসনেস-এর প্রস্তাবিত নতুন পলিসি সাসপেন্ড করেছেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর  » «   লন্ডনে বিসিএ এ্যাওয়ার্ডস ২৮ অক্টোবর থাকছে নানা চমকপ্রদ আয়োজন  » «   বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৩২নং বাসভবন ভস্মীভূত এবং ভাস্কর্য ভাংচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ  » «    অদ্ভুত দেশপ্রেম ও খাঁটি ব্যক্তিগত স্বার্থ  » «   বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবারে বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিমানবন্দরে হেনস্তা  দানবদের দৌরাত্ন  কবে থামবে 



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

প্রবাসে পাখির ডাকে ভোরে ঘুম ভাঙে না, ভাঙে ঘড়ির অ্যালার্মে।  সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে –  লাল রংয়ের লাগেজ হারানো বেশ কটি ছবি ।

ঢাকায় এয়ারপোর্টে লাগেজ হারানোর  রিপোর্ট করতে গিয়ে  একজন এ দৃশ্য দেখেন । উনার লাগেজের অবস্থা দেখে চীনা ভদ্রমহিলার বিস্ময়ের ঘোর কাটছিল-ই না। কিভাবে সম্ভব? সোনার জুয়েলারি, দামী কসমেটিক্স, স্যু ছাড়াও ব্যাগের অর্ধেক জিনিসপত্র নাই।

লজ্জায় অফিস কর্মকর্তাদের মাথা কাটা যাচ্ছিল। বিদেশী টুরিস্ট, ডেলিগেট কিংবা ব্যবসায়ী যেই হোক, শুরুতেই যদি এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়!

বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা ।পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে   ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা বিদেশীরাও । বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি  বিশ্বের আনাচে–কানাচে বসবাস করছেন। প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসাকালীন সময় প্রতিনিয়ত বিমানবন্দরে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তাদের অসদাচারণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নানান হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

অসংখ্য অভিযোগ, বছরের পর বছর  সংবাদ প্রকাশ, মন্ত্রীপর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সিভিল এভিয়েশনের কড়া তদারকি, প্রশাসনিক নজরদারি সহ গোয়েন্দা বিভাগগুলোর নানামুখী তৎপরতার পরও বন্ধ হচ্ছে না হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি।

সম্প্রতি বাংলাদেশে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া -আসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ফ্রান্স প্রবাসী তারেক আহমদ এবং আফসানা আক্তার মীম, ইতালি প্রবাসী আফজাল হোসেন শেফালী বেগম ,স্পেন প্রবাসী রুনা আক্তার , পর্তুগাল প্রবাসী আয়েশা আক্তার এবং সিদ্দিকুর রহমান সবারই  একই কথা-  ‘বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো ভুক্তভোগীকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়।’

দুঃখজনক হলেও সত্য, হাত তোলা হয় প্রবাসীদের গায়ে-ও!   যার বাস্তব চিত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কয়েকবার ভাইরাল হয়েছে।  কিন্তু  এই কথা বলতে বাধা নেই যে ,প্রবাসীর ঘামের টাকা সচল রাখছে দেশের চাকা। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে কর্মরত বাংলাদেশিরা।

ইমিগ্রেশন বিভাগে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এসব প্রবাসী কর্মজীবীর সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করেন। তুই-তুকারি করে কথা বলা, পেটে কলমের গুঁতা দেওয়া, ইয়ার্কির ছলে দুই হাতে গলা চেপে ধরে পাছায় লাথি মেরে হটিয়ে দেওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অপমানজনক ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনেক প্রবাসী রাগে-দুঃখে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন,   অসহায়ের মতো  বিমানবন্দরের মেঝেতে গড়াগড়ি দেবার দৃশ্যও স্যোসাল মিডিয়ায় দেখা গেছে। অনেকে জীবনে আর কখনো দেশে না ফেরার শপথ পর্যন্ত করেন অপমানে, ক্ষোভে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া থাকলেও যেন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না এ হয়রানি।  নিরাপত্তা তল্লাশির নামে যাত্রীদের এ ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, যাত্রীদের লাগেজ সংগ্রহে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় সংঘবদ্ধ চক্র লাগেজ গায়েব করে ফেলে।

প্রবাসীদের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিদেশীরা বিমানবন্দরে এসে রক্ষা পাচ্ছেন না এই হেনস্তার শিকার থেকে । ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, মূলত ইমিগ্রেশন পুলিশের হয়রানির শিকার হয়ে বহির্গামী যাত্রীদের নাভিশ্বাস ওঠছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশে ফেরা  বেশ কজন ইউরোপ প্রবাসীরা জানান , যাচাই-বাছাই করেই দূতাবাস তাঁদের ট্রাভেল পাস দিয়েছে। এটা নিয়ে ফেরার সময় বিদেশের বিমানবন্দরে কোনো অসুবিধা হয়নি। অথচ  নিজ দেশের বিমানবন্দরে এসে যত ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

বিমানবন্দর অভ্যন্তরের অন্তত ১০টি ধাপে প্রবাসীদের কাছ থেকে চাহিদামাফিক টাকা হাতানো হয় বলে ভুক্তভোগী প্রবাসীরা জানিয়েছেন। গত ২০ বছরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও বিমান ওঠানামার সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি যাত্রীসেবার মান। আগে  লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে প্রবাসীদের অপেক্ষা করতে হতো। এখনো সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মেলেনি প্রবাসীদের।  দ্রুত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাঁদের বিমানবন্দর ত্যাগের অনুমতি দেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।

নিজের দেশে ফিরে শুনি, আমি নাকি রোহিঙ্গা। ছয় বছর আগে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেছি। আমরা প্রবাসীরা বিদেশেও দাম পাই না, দেশেও দাম পাই না। প্রবাসীদের খুব বেশি চাওয়া নেই, হাজারো প্রবাসী স্বপ্ন দেখে কিছু অর্থ আয় করে দেশে ফিরে যাবে। ফিরে যাবে প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে, সন্তানের কাছে, বাবা-মায়ের কাছে।

 

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক