প্রবাসিদের প্রেরিত রেমিটেন্সে ২ ভাগ প্রণোদনার প্রস্তাব প্রথম যায় আরব আমিরাত থেকে। বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই থেকে এ প্রস্তাব প্রথমে শুরু হলে এর পেছনে বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লেগে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিআইপি নূর মোহাম্মদ । আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান এ কথা বলেছেন। দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত তাঁকে দেওয়া বিদায়ি সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখাকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমার পেশাগত কাজের সময়ে এমআরপি পাসপোর্ট এবং আমিরাতের সাধারণ ক্ষমা দুটো চ্যালেন্জ ছিলো। এ দুটো সফল হয়েছি প্রবাসিদের সহযোগিতায়। চলিত বছরে মুজিববর্ষ এবং দুবাই এক্সপো সফল করতে বাংলাদেশি প্রবাসিদের আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার শারজাহের একটি অভিজাত হোটেলে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী আবু জাফর চৌধুরী। হাজী শফিকুল ইসলাম ও কাজী মোহাম্মদ আলীর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান, বাংলাদেশ সমিতি দুবাইয়ের আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুস সবুর, প্রাণিবিদ ড. রেজা খান, কমিউনিটি নেতা আব্দুল আলীম ও আইয়ূব আলী বাবুল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরশাদ হোসেন হিরু। এ সময় আরব আমিরাতের নানা প্রদেশে বাংলাদেশি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি নানা সংগঠন ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
অনুষ্ঠানে বিদায়ি রাষ্ট্রদূতের কার্যকালের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদ, মাজহার উল্লাহ মিয়া, শাহজাহান মিয়াজি, শাহাদাত হোসেন, সি আই পি জেসমিন আক্তার, আবুল কাশেম, তাজ উদ্দিন, আনসারুল হক, সাইফুদ্দিন আহমদ, প্রকৌশলী মোর্শেদ, রহমত আলী শোয়েব, সি আই পি নূর মোহাম্মদ, সি আইপি আক্তার হোসেন সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা, আরব আমিরাতে সাধারণ ক্ষমা চলাকালিন সময়ে উত্তর আমিরাতের কাণ্ডারি হিসেবে কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেনকে যথাসময়ে নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটিকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ দেবার জন্য বিদায়ি রাষ্ট্রদূততে ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গ, অর্ধযুগের মতো আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে সরকারের নির্দেশে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে তিনি যোগ দিবেন ।