ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রুহুল আমিন(৩৫) নিহত হয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের মাধবপুর নামক এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চালকসহ আরো ২জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহত প্রবাসী রুহুল আমিন এর বাড়ী সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির নামনগর । তার পিতার নাম আলিম উদ্দিন। ২৪ বছর পর আমেরিকা থেকে দেশে ফেরার সময় এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান পরিবারের এই বড় সন্তান।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- নিহত রুহুল আমিনের বাবা আলিম উদ্দিন , ছোট ভাই নুরুল আমীন এবং মাইক্রো চালক বাদশাহ মিয়া। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন মহিলা যাত্রী, যার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাম্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে নুরুল আমিন ও চালক বাদশাহ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
নিহত রুহুল আমীন দীর্ঘ ২৪ বছর পর দেশে যাবার প্রাক্ষালে তার ফেইসবুক আইডিতে সর্বশেষ ছবি আপলোড করে তার উচ্ছাস প্রকাশ করেছিলেন। তার ফেইসবুক আইডিতে দেখা যায়- জন্মভূমি বাংলাদেশ এ যাত্রার আগের রাতে, শেষ কর্মদিবসে দেশে যাবার তথ্য প্রকাশ করেছেন। তারপর জনএফ কেনেডি এয়ারপোর্টে বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে এবং সর্বশেষ আনন্দময় সেলফিটি আপলোড করেছেন- দুবাই এয়ারপোর্টে ট্রানজিট সময়ে।
নিয়তি তার মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ ও ছবি তার ফেইসবুক বন্ধুরা তার-ই আইডিতে কয়েক ঘন্টা পরে শেয়ার করেছেন।
রুহুল আমিনের মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদে নিউ ইয়র্র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমেছে। সকলের মুখেই দুর্ঘটনার সংবাদটি আলোচনায় উঠছে। বুধবার বিকেল ৬:৩০ মিনিট নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় অবস্থিত শাহ জালাল মসজিদে নিহতের আত্বীয় স্বজন ও বন্ধুমহলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।