১৩ জানুয়ারি আবুধাবীর শাংগ্রিলা হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যথাক্রমে বাহরাইন, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতগণের অংশগ্রহনে ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ (Envoys’ Conference) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী– ‘আমরা শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে বাস করতে চাই। যারা অস্ত্র বানায় তারা অস্ত্র বিক্রির একটা বাজার তৈরি করে। দেখা যায় যে মুসলিম দেশের জনগণই তার শিকার হয়। মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে’।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন— প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও রপ্তানি কীভাবে বাড়ানো যায়, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা কেমন, সেসব বিষয়ে কাজ করতে হবে রাষ্ট্রদূতদের। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই বাঙালি জাতি আত্মপরিচয় পেয়েছে।
“বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। আগে অনেক কসরত করে দাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হতো। আমরা এখন সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা এখন কাউকে দাতা বলি না। তারা এখন বলি উন্নয়ন সহযোগী।”
এই সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন, অর্থনৈতিক কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অভিবাসন, মুসলিম দেশগুলোর সাথে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতা উন্নয়ন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণ ইত্যাদি উপস্থাপন করার সুযোগ এর কথা জানেনা হয়। সম্মেলনে মিশন সমূহ সংশ্লিষ্ট দেশে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ এবং বিভিন্ন অভিলক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা-বিপত্তির ব্যাপারেও অবহিত করার সুযোগ পান। ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিশন প্রধানগণ সরকারের প্রাধিকার মূলক ক্ষেত্রসমূহের উপর যথাযথ দিক নির্দেশনা গ্রহনের সুযোগ ছিলো বলে জানা গেছে।