দীর্ঘ ৮ বছর বন্ধ থাকার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আবারও ম্যানচেস্টার থেকে উড়ছে। লাভজনক এই রুটটি চালুর উদ্যোগ বিভিন্ন সময় নেয়া হলেও সফলতা এলো এবার । এবারে ম্যানচেষ্টারের ফ্লাইটকে আরও ব্যবসা সফল করে তোলতে ম্যানচেষ্টার-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট দিয়েই যাত্রা করছে বিমান। ম্যানচেষ্টার-ওল্ডহ্যাম-লিভারপুল-লীডস তথা নর্থ ইংল্যান্ডের দেড় লক্ষের কাছাকাছি বাংলাদেশী অভিবাসীদের দাবীর প্রতি সরকার সম্মান দেখিয়ে ম্যানচেষ্টার-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে আজ ৫ জানুয়ারী রোববার সন্ধ্য ৮ টায়, ম্যানচেষ্টার এয়ারপোর্ট থেকে।
ম্যানচেষ্টার-সিলেটের এই ফ্লাইটকে সামনে রেখে ম্যানচেষ্টার এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এয়ারেপোর্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যেগেই এয়ারপোর্টকে সাজানো হয়েছে বিমানের প্রচার-প্রচারনা সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টারে । বিমানের রিজিওনাল শাখা ম্যানচেষ্টার অফিসও এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে দির্ঘদিন থেকে।ঢাকা থেকে কার্গো এবং বিপনন বিভাগের প্রধান ম্যানচেস্টারে এসে ইতিমধ্যে গনসংযোগও করেছেন লাগাতার। সেকারনেই এ ফ্লাইটকে সামনে রেখে সারা নর্থ ইংল্যান্ডের বাঙ্গালি কমিউনিটিতে আছে উচ্ছাস। ইতিমধ্যে প্রথম তিনটি ফ্লাইটের সকল টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করার কথা।
বিমান বহরে সদ্য সংযোজিত ‘বোয়িং ৭৮৭-৯’ ড্রিমলাইনার দিয়ে শুরু হচ্ছে ম্যানচেস্টার-সিলেট রুটের যাত্রা। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিনদিন এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বিমানের এ ফ্লাইটগুলো চলবে।
নর্থ ইংল্যান্ডের মানুষের অনেক দিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট আবারও চালু হবে। এই আকাংখারই সার্থককতায় প্রাথমিকভাবে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার দিয়ে পরিচালিত করা হবে রুটটি। যার সর্বমোট আসন সংখ্যা ২৯৮টি। এর মধ্যে ৩০টি বিজনেস ক্লাস, ২১টি প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস ও ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসের আসন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এটি বিমানের ১৭তম রুট। উড়োজাহাজ সংকটের কারণে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে রুটটিতে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল বিমান। প্রায় ৮ বছর পর এই রুট চালু হতে যাচ্ছে।