ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে রকেট হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনায় খোদ নিজ দেশে প্রশ্নের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এ হামলার নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ তার নিজ দেশের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতারা। তাদের প্রশ্ন ইরাকের সরকারের অনুমতি ব্যতীত ট্রাম্পের ইরাকের মাটিতে সোলাইমানিকে টার্গেট করার আইনী অধিকার নিয়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনমতে অন্যান্য রাজ্যের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ নিষিদ্ধ করে তবে কোনও রাষ্ট্র তার অঞ্চলটিতে বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্মতি জানালে ব্যতিক্রম হয়। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ইরাকের সম্মতি না থাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায্যতা প্রমাণ করা কঠিন।
ওয়াশিংটন এবং বাগদাদের মধ্যে ২০০৮ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে ইরাকের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছিল ইরাক, তবে ইরাককে ব্যাবহার করে অন্য দেশের আক্রমণ নিষিদ্ধ ছিল চুক্তিটিতে ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে মার্কিন সেনা রাখার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদী। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান হামলা ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন যা ইরাক ও আরব অঞ্চলকে বিশ্বে যুদ্ধের দিকে পরিচালিত করবে।
এ ঘটনায় ইরাক থেকে আমেরিকান সেনাদের বহিষ্কারের আহ্বানে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।