খেলাধুলা স্বদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। নিজেদের তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করে। খেলাধুলা মানুষকে শৃংখলা শেখায়। খেলাধুলা ভ্রাতৃৃত্ববোধ গড়ে তোলে সহজে, সাথে খেলাধুলার মাধ্যমে বিনোদনের স্বদেশকে উপস্হাপন করতে পারে সহজে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হিল সিটি রাস আল খাইমায় আমিরাতের স্বাধীনতা দিবস ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে বিগত তিন বছরের মতো এবারও আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেছেন বক্তারা।
আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি সি এম আব্দুল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক মুবিন গণির পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মোনায়ার।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন শেখ মুফতা আল খাতেরী, সি আইপি আকতার হোসেন, লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদার, এম এ মুছা, মাসুক উদ্দিন ইউসুফ, প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন,জসিম উদ্দিন মল্লিক,প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, জাফর চৌধুরী,আবুল কাসেম,জুয়েল,আবদুল মতিন, জয়নুল হক,প্রকৌশলী মাহিউদ্দিন বেলাল রনি,অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান,আলম,কামাল আহমদ সুমন সহ আরো অনেকে।
দীর্ঘ চার বছর ধরে অনুষ্ঠিত এই টুর্ণামেন্ট প্রবাসীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দুদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ টুর্ণামেন্টে ১৬ টিম খেলে নক আউট পদ্ধতিতে। গত তিনমাস ধরে প্রতি শুক্রবার খেলা চালিয়ে আসছিলো আয়োজক কমিটি। টুর্ণামেটের সমন্বয়ক ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিল্লাত। কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে শাহিন খন্দকার,মাঈনু উদ্দিন ফারুক,মোহাম্মদ আকতার,এম এ হামিদ,নরুন নবী খোকন,জমির উদ্দিন,আলাউদ্দিন টিপু,নাসির উদ্দিন মুন্না, মোবিন, সমশুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এবার খেলায় লক্ষীপুর সোসাইটি ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে রাক ইলেভেন স্টারকে পরাজিত করে বিজয় ট্রপি অর্জন করার সৌভাগ্য অর্জন করে। নব্বই মিনিটের উত্তোজনা পূর্ণ এই খেলায় দু’দল সমান সমান খেলে ও ভাগ্যগুণে জয় পেয়ে যায় লক্ষিপুর সোসাইটি ২। আল রামস্ স্টেডিয়াম ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো। খেলা দেখতে আসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রায় সব প্রদেশ থেকে প্রবাসীরা।