ভারতে চলমান নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল পুরো দেশ। বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভে জনতা-পুলিশের সংঘাতে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। ব্যাপক প্রাণহানী ও সংঘাত বাড়তে থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রীসভার জরুরি এক বৈঠকের ডাক দেন।
বৈষম্যমূলক এ নাগরিকত্ব বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জরুরী অবস্থা জারি করে এবং মোবাইল- ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেও বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সকল বিষয় ক্ষতিয়ে দেখতে মন্ত্রীসভার এ বৈঠক ডাকা হয়।
ইতোমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহাণির ঘটনা ঘটে দেশটির উত্তর প্রদেশে যেখানে ১১ নিহত হয়েছে এবং আরো অনেকের অবস্থা আশংকাজনক। এ প্রদেশে বিক্ষোভ ঠেকাতে স্কুল ও মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তবুও সহিংসতা এড়ানো যায়নি। সেখানে আট বছরের এক শিশুও গুলির আঘাতে নিহত হয়।
তাছাড়া দিল্লি অসামসহ ৮টি প্রদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আসামে মিছিলে হাজারো নারীরা অংশগ্রহণ করে। মমতা ব্যানার্জসহ ৬ রাজ্য থেকে এ আইন বাস্তবায়ন করা হবে না বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কংগ্রেস থেকেও এ আইনের বিরোধিতা করে রাজপথে আন্দোলন চলছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গাঁন্ধি এক বিবৃতিতে নতুন এ নাগরিকত্ব আইনকে ’বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ’বিক্ষোভ দমনে বর্বর শক্তি প্রয়োগ’ করার অভিযোগ তুলেন।
পুরাতন দিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা মিছিলে ভারতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ‘ সংবিধান রক্ষা কর’ লেখা ব্যানার নিয়ে হাজির হয়ে জামা মসজিদ থেকে বিক্ষোভ শুরু করে তবে দিল্লি গেটে তাদেরকে আটকে দেয়ার চেষ্টা করে। সেখানে ব্যাপক জনতা সেসময় পুলিশের সাথে সংঘাতে জড়ায়।