দেশমাতৃকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দেশপ্রেম এবং উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ইতালীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য দুদিনের এ আয়োজনে ১৫ই ডিসেম্বর প্রথম দিনের অধিবেশনে দূতাবাসে আয়োজন করা হয় শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন, বিজয় ফুল তৈরি ও কবিতা আবৃত্তি। দুটি ভাগে ভাগ করে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশু কিশোর তাদের অভিভাবক ও দূতাবাস পরিবার সহ ইতালী সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতা শেষে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সব শেষে রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার ও তার সহধর্মিনী পারভীন তাহমিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
(১৬ই ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে সকালে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সন্ধ্যায় দূতাবাসের আয়োজনে রোমের বাংলা অধ্যুষিত অরকু ডি ত্রাবুরতিনো এলাকায় টেন্ট্রো সান গাম্পার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ইতালী প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক, আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি ইতালী আওয়ামী লীগ, ইতালী মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ইতালী শাখা, রোম মহানগর আওয়ামী লীগ, স্চ্ছোসেবক লীগ ইতালী সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেস ক্লাব, বাংলা প্রেসক্লাব ইতালী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা – কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার এসময় তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের। এসময় তিনি ইতালী প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং ইতালীতে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে রোমের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও শিশু শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করে বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও বাংলাদেশের বিজয়কে ফুটিয়ে তুলেন। শেষে দূতাবাসের ব্যাবস্থাপনায় বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয়।