বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
গ্রেটার বড়লেখা এসোশিয়েশন ইউকে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে কাজ করবে  » «   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «   রোটারিয়ান মোহাম্মদ খতিবুর রহমান বার্লিন যাচ্ছেন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন বাজেটে হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ দমন, তরুণ, বয়স্ক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে বিপুল বিনিয়োগ প্রস্তাব  » «   আজীবন সম্মাননা পেলেন সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই  » «   লন্ডন বাংলা স্কুলের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

লন্ডনে একাত্তরে চা বাগানে নারকীয় গণহত্যা নিয়ে আলোচনা
সিজন অব বাংলা ড্রামার আয়োজনে ছান্দসিকের পরিবেশনা



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে টাওয়ার হ্যামলেটস এর সিজন অব বাংলা ড্রামার আয়োজনে আবৃত্তি সংগঠন- ছান্দসিক পরিবেশন করেছে ‘জেনসাইড ইন টি এস্টেটস ইন নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান।’

১6 নভেম্বর শনিবার পূর্ব লন্ডনের নজরুল সেন্টারে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত গণহত্যা নিয়ে অনুষ্ঠানে ছিল বীরাঙ্গনাসহ ৭১ সালের বিভীষিকা সময়ের ঘটনার পাঠ ও আলোচনা।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধপরবর্তি সময়কে ধারণ করে ব্যতিক্রমি অনুষ্ঠানে মুনিরা পারভীনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ থেকে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন – মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক অপূর্ব শর্মা। আলোচক ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার আবু মুসা হাসান ও মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ইসহাক কাজল।

পহেলা নভেম্বরে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই নাট্য উৎসবে গবেষক অপূর্ব শর্মা  সিলেটে চা বাগানে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা নিয়ে তার গবেষণা গ্রন্থ-‘চা বাগানে গণহত্যা-১৯৭১’ থেকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ইতিহাস তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অবদান অনেক বেশী হলেও নানা কারণে তাদের অবদান এবং যুদ্ধসময়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহসী, লোমহর্ষক ও বেদনাবিধুর ইতিহাস অজানা রয়ে গেছে। দীর্ঘ দশ বছরের গবেষণায় বইটিতে অপূর্ব শর্মা তুলে ধরেছেন- সিলেটে চা বাগানে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী প্রাসঙ্গিক দিকগুলো।

মূলত এইসব ঘটনা থেকেই বর্ণনা করেছেন এই প্রধান অতিথি। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য চা বাগানের যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, এখনও যারা বেঁচে আছেন অথবা ইতিহাসের সেইদিনগুলোর সাক্ষি হয়ে আছেন; তাদের অবদানকে তুলে ধরার দায়িত্ব বোধ থেকেই চা বাগানের গণহত্যা নিয়ে বই লিখেছেন- জানিয়ে  অপূর্ব শর্মা বলেছেন, নায্য সুযোগ সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত রয়েছে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠি। মুক্তিযোদ্ধারা এখনও অবহেলিত। তাদের অবদানকে রাষ্ট্রিয় ও সামাজিকভাবে তুলে ধরা হয়নি। অথচ তাদের অবদান কোন অংশে কম নয়।

মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আবু মুসা হাসান বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে সিলেটে চা বাগানের বাসিন্দাদের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে বর্বর নির্যাতনের কাহিনী শুনলাম, সেই ধরনের নির্মমতা সারা দেশেই ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও সহযোগিতা দেবার কারনে এবং যাদের আত্মীয় স্বজন যুদ্ধে গেছেন, সেই সকল পরিবারের উপর নির্যাতন হয়েছে সবচেয়ে বেশী। বাড়ী-ঘরে আগুন দিয়েছে, মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে পাক বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর। এই ধরণের অনুষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জানার এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে বিরাট ভূমিকার রাখবে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক , মুক্তিযুদ্ধা ইসহাক কাজল এর ২০০৬ সালে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ – ‘সুরমা উপত্যকার চা শ্রমিক আন্দোলন : অতীত ও বর্তমান’ বই থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে চা বাগানের শ্রমিকদের ইতিহাস তুলে ধরেন।  একজন শ্রমিকনেতা হিসাবে ইসহাক কাজল নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন-বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চা শ্রমিকদের অনেক অবদান রয়েছে। বহু শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু এই সকল যোদ্ধাদের আত্মদানের স্বীকৃতি নেই। চা বাগানের শ্রমিকরা এখনও নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত,যা খুবই বেদনার।

ছান্দসিক আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐহিহাসিক,সাহসী, লোমহর্সক বেদনাবহ ঘটনা থেকে পাঠ করেন- মুনীরা পারভীন,শতরূপা চৌধুরী, রাজ দাস, সমভা বিশ্বাস, সাবরিনা এনি, তানভীর আহমেদ। আবহ সঙ্গীতে ছিলেন আমিন খান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অপূর্ব শর্মা ও মুনীরা পারভীন।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন