প্রবাসীদের নানা সমস্যা , দুর্ভোগে সহায়তা এবং সরকারের প্রবাসীবান্ধব সেবাগুলো প্রবাসীদের কাছে সহজে পৌছে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ বার্সেলোনায় কনস্যুলার সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকারের নেতৃত্বে প্রতি দুমাস অন্তর অন্তর এই সেবা প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ০৯ নভেম্বর শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ টীম বার্সেলোনার স্কুলা পিয়া এর হলরুমে এই দূতাবাস সেবা প্রদান করে।
সকাল ৯টা থেকে পর্যটন শহর বার্সেলোনা সহ এর আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৫ শতাধিক প্রবাসী নারী,পুরুষ,শিশু সেবা নিতে ভিড় জমান স্কুলা পিয়ার সামনে ।একদিনের জন্য সেবা দিতে আসা দুতাবাস টীম শান্তি সৃংখ্যলা ও নিয়ম নিতীর মধ্য দিয়ে সেবা প্রদানের জন্য তারা নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সেবা প্রদান সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়।এতে সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা বাংলাদেশ দূতাবাসের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
সেবা প্রদান দিতে আসেন মাদ্রিদে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম শ্রম সচিব শরিফুল ইসলাম,দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং রিদুয়ান আহমেদ,অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম সহ মোট পাঁচজন দূতাবাস কর্মকর্তা ।
দূতাবাসের সেবাসমূহের মধ্যে ছিলো প্রবাসীদের এমআরপি নতুন পাসপোর্ট বিতরন, নতুন আবেদনকারী এমআরপি’র এনরোলমেন্ট ,পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ,৬ বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের এমআরপি’র আবেদন গ্রহণ,মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারীর ছঁবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ,স্প্যানিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের নো-ভিসা আবেদন গ্রহণ,ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পূরনের আবেদন এছাড়াও প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়ন এবং প্রবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন গ্রহণ ইত্যাদি।
প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশী অধ্যুষ্যিত পর্যটন শহর বার্সেলোনায় প্রবাসীরা প্রতিমাসে অন্তত দুইদিন এই সেবা কার্যক্রম চালু করার জন্য দূতাবের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।