মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রবাসী সংগঠক, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রথম সাধারণ সম্পাদক মরহুম শামসুল আলম চৌধুরী স্মরণে এক শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ সেন্টার।
১০ নভেম্বর, রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের স্টিফোর্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির নানা শাখার বিশিষ্টজন এবং সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সেন্টারের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন-সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
শোকসভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রবাসী সংগঠক, সেন্টারের প্রথম সাধারণ সম্পাদক মরহুম শামসুল আলম চৌধুরী’র বর্ণাঢ্য কাজের স্মৃতিচারণ করেন- মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নারী সংগঠক ফেরদৌস রহমান, শামসুল আলম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শহীদুজ্জামান খান, সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান শাহানুর খান, নিজাম উদ্দিন,সাবেক চীফ ট্রেজারার সিরাজুল ইসলাম, বর্তমান চীফ ট্রেজারার মামুন রশীদ, কমিউনিটি নেতা কেএম আবু তাহের চৌধুরী,লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহিব চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুবায়ের, ডা. আলা উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন আব্বাস, এম এ মতিন, শওকত মাহমুদ টিপু, ইসবাহ উদ্দিন, মিসবাহ জামাল,সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইছির মাহমুদ ও সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, শামসুল আলম চৌধুরী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন সংগ্রামের সময় স্টিয়ারিং কমিটির অফিস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। এ স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেন্টারের সাথে যুক্ত বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ যুক্তরাজ্যে গড়ে ওঠা আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ তহবিল সংগ্রহে যে কয়জন ব্যক্তি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন- তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শামসুল আলম চৌধুরী।
এছাড়াও শামসুল আলম একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে কমিউনিটির নানা কাজে মেধা ও শ্রম ব্যয় করে কমিউনিটির সুনাম ও উন্নয়নে কাজ করেছেন। একজন স্পষ্টবাদী হিসাবে তার পরিচিতি ছিল। আমৃত্যূ ব্যক্তিগত মোহ বা প্ররোচনায় তিনি নিজেকে বিলিয়ে না দিয়ে সবসময় দেশপ্রেম নিয়েই জীবন পার করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি উচ্চকণ্ঠ ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্বে মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন সেন্টারের খতিব হাফিজ নাজিম উদ্দিন।
শোকসভায় সেন্টারের পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবারকে একটি শোকবার্তা আনুষ্ঠনিক ভাবে প্রদান করা হয়। মরহুমের পরিবার পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করেন শওকত মাহমুদ টিপু।
উল্লেখ্য যে, শামসুল আলম চৌধুরী চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান । ৬০এর দশকের প্রথম দিকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য আসেন। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এ বছরের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ সেন্টারের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শামসুল আলম চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান করা হয়।