ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে আট জেলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে আঘাত হানার পর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে লক্ষাধিক। এর মধ্যে শুধু সাতক্ষীরায় বুলবুলের তাণ্ডবে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে খুলনায় দুজন, পিরোজপুরে দুজন, বরিশালে একজন, পটুয়াখালীতে একজন, বরগুনায় একজন, বাগেরহাটে একজন, গোপালগঞ্জে একজন ও শরীয়তপুরে একজন রয়েছেন।
তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দুজন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩০ জন। এ সময় চার থেকে ৫ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অর্ধশত জেলে নিখোজ: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে এপর্যন্ত তিনটি ট্রলার নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। মাছধরা এই ট্রলারগুলোতে অন্তত অর্ধশত জেলে ছিলেন বলে জানা যায়। গত পাঁচ দিন আগে ওই ট্রলার তিনটি নিয়ে জেলেরা বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা আর তিরে ফিরে আসেননি।
ওই জেলে ও তিনটি ট্রলার কোথায় কি অবস্থায় আছে তা বলতে পারছেন না জেলে পরিবার অথবা ট্রলার মালিক পক্ষের কেউ-ই। ধারনা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল‘এর তান্ডবে সমুদ্রপৃষ্ঠেই সলিল সমাধি ঘটেছে তাদের।
বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, নিখোঁজ ট্রলারগুলোর মধ্যে দুটি কলাপাড়ার ও অন্যটি বরগুনা সদর উপজেলার। এর মধ্যে বরগুনা সদরের এফবি তরিকুল নামের ট্রলারটি ১৫ জন জেলে নিয়ে গত মঙ্গলবার সাগরে গিয়েছিল। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ট্রলারে থাকা সবাই বরগুনা সদর ও বামনা উপজেলার বাসিন্ধা বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তাল সাগরে ট্রলার ডুবে যেতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করছিলেন বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি।
কলাপাড়া উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, এফবি ফেরদৌস খান ও এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের প্রত্যেকটিতে ১৮ জন করে জেলে ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে এই দুটি ট্রলারও নিখোঁজ। সাগর উত্তাল থাকায় তাদের সন্ধানে অন্য ট্রলার পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।