টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল। তবে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি দলটি। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে ট্রুডোকে ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১৭০টি আসনে জেতার প্রয়োজন হলেও ১৫৬টি আসনে নির্বাচিত হয়েছে লিবারেল পার্টি। আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে বামপন্থী বিরোধী দলগুলোর সমর্থন প্রয়োজন হবে ট্রুডোর।
উল্লেখ্য, ৪০ দিনের ক্যাম্পেইন শেষে ২১শে অক্টোবর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যান্ড্রু শিয়েরের কনজারভেটিভ পার্টি ১২২টি আসনে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া জগমিত সিংয়ের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি ২৪টি, ব্লক ক্যুইবেকার্স ৩২টি, এলিজাবেথ মের গ্রিন পার্টি ৩টি আসনে নির্বাচিত হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি ১টি আসনে জয়ী হলেও পিপলস পার্টি অব কানাডার কোন আসনেই জিততে পারেনি। দলটির দলনেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার একমাত্র দলনেতা যিনি নিজের আসনেও জিততে পারেন নি।
২০১৫ সালে ৩য় অবস্থান থেকে বিশাল বিজয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু ২০১৯ এ এসে কানাডিয়ানরা তাকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি। ক্ষমতায় ফিরলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পার্লামেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে ট্রুডো-র। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন আইন পাস করতে অন্য দলগুলোর শরণাপন্ন হতে হবে তাকে।
২০১৫ এর নির্বাচনে ১৭৭ আসনে জয়ী হলেও ২০১৯ এর নির্বাচনে ২১টি আসন হারিয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। অন্যদিকে অ্যান্ড্রু শিয়েরের কনজারভেটিভ পার্টি ৯৫ টি আসন থেকে ২৭টি বেশী আসনে জয়ী হলেও ভোট শেষে তাদেরকে ১২২টি আসন ২য় অবস্থানে থেকেই শেষ করতে হয়েছে। জগমিত সিংয়ের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি আগেরবারের তুলনায় ১৫টি আসন হারিয়ে এবার পেয়েছে ২৪টি আসন।
এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কানাডার ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।