ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) ও বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ওসির প্রত্যাহার দাবিসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা বশির উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার স্বার্থে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে। এ সময় তিনি তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জেলার সব উপজেলায় বিক্ষোভ, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মানববন্ধন ও শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত।
সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান ৬ দফা দাবি তুলে দরে বলেন, আল্লাহ এবং নবী-রাসুলদের নিয়ে কটূক্তিকারীর বিরুদ্ধে যদি দেশে কঠিন শাস্তির আইন থাকত তাহলে রোববার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হতো না।
তিনি বলেন, মহানবী (সা.), আল্লাহ ও ইসলামকে ব্যাঙ্গ ও কটূক্তিকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করতে হবে। বিপ্লব চন্দ্র শুভর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা দিতে হবে। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ইয়াকুব আলী চৌধুরী, মাওলানা মো. ইউসুফ, মাওলানা মো. আতাহার আলী, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা মাহাবুবুর রহমান, সদস্য সচিব মাওলানা তাজুদ্দিন ফারুকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে রোববার (২০ অক্টোবর) ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহিদি জনতার ব্যানারে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে চারজন নিহত হন। সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক মানুষ আহত হন।