বুয়েটের ছাত্র আবরারের নৃশংস হত্যাকান্ডকে একদিকে বাকস্বাধীনতারওপর নিষ্ঠুরতম আঘাত ও অন্যদিকে ছাত্রসংগঠন তথা শিক্ষাঙ্গণের ওপর দুর্বৃত্তায়িত অসুস্থ রাজনৈতিক প্রভাবের নিষ্ঠুর পরিণতি উল্লেখ করে অবিলম্বে বুয়েটসহ দেশের সকল ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষাঙ্গণকে সম্পূর্ণ দলীয় রাজনীতিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কিশোরগঞ্জ। কিশোরগঞ্জ সনাক শহরের গৌরাঙ্গবাজার মোড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে যেখানে অন্যান্য সমমনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন উপস্থিতছিলেন। দেশের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে একের পর এক রক্তক্ষয়ী ছাত্র সহিংসতা, ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম, দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবদুষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা এবং একই কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যত নিষ্ক্রিয়তার ফলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী আদর্শিক ছাত্র আন্দোলনের অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি। আবরার হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সকল ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষাঙ্গণকে সম্পূর্ণ দলীয় রাজনীতিমুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছে সনাক-টিআইবি।
১৪ অক্টোবর আয়োজীত মানববন্ধনে সনাক টিআইবি’র কিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়: ১. আবরার হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে, ২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করুন, ৩. সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে ছাত্রসংগঠন বিকশিত হবার পরিবেশ সৃষ্টি করুন, ৪ শিক্ষাঙ্গণের শিক্ষক-কমকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের দলীয় রাজনীতি বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিন, ৫. সকল ধরনের দলীয় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও যোগসাজশ বন্ধ করুন এবং শিক্ষাঙ্গণে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগে নিন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য ও মহিলা পরিষদের সভাপতি এড.মায়া ভৌমিক,সনাক সদস্য মানস কর, সহ-সমন্বয়কারী এড. হামিদা বেগম, সদস্য গাজী মহিবুর রহমান, শওকত মস্তফা খান, আবদুর রশিদ রেজা এবং ইয়েস সদস্য জাকিরুল হক ও ইয়েস ফ্রেন্ডস শুভ সরকার প্রমূখ। মানববন্ধনে সনাক, স্বজন, ইয়েস গ্রুপ, টিআইবি কর্মী, সাংবাদিক ও আগ্রোহী জনতা উপস্থিত ছিলেন।