দেবী দুর্গাও মর্ত্যে আসিয়া অশুভ শক্তির বিনাশের মাধ্যমে শুভশক্তিকে প্রতিস্থাপন করেন। জীবের দুর্গতি নাশ করেন বলিয়াও তাহাকে দুর্গা বলা হয়। দেবতাদের শক্তিতে শক্তিময়ী এবং বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিতা হইয়া এই দেবী যুদ্ধে মহিষাসুরকে বধ করেন। দেবী দুর্গা দশভুজা, ইন্দ্রিয় সংযমের প্রতীক তাহার দশ হাত দশ দিক রক্ষায় শক্তিসম্পন্না। দুর্গা ত্রিনয়না—অগ্নি, সূর্য ও চন্দ্রের প্রতীক ব্রহ্ম, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের শক্তিসম্পন্না রামের সেই সময়ের যুদ্ধ যেমন অশুভ শক্তির প্রতিভূ অসুরের বিরুদ্ধে, ঠিক তেমনই দুর্গত দেবতাদের সপক্ষেও। ব্যক্তি মানুষের মধ্যে, সমাজের মধ্যে অসুররূপী যে পশুত্ব রহিয়াছে, তাহা হইতে মনুষ্যত্বে উত্তরণের যে চিন্তা সমাজ-জীবনে প্রবহমান, সেই চিন্তারও প্রতিফলন ঘটিতে দেখা যায় দুর্গাপূজার মধ্যে। সেই কারণে দুর্গা দেবী হইতেছেন শুভ শক্তির আরাধ্য দেবী। দুর্গাপূজার মাধ্যমে জগতের শুভশক্তিরই আরাধনা করিয়া থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে নর্থ ওয়েস্ট বাঙালী হিন্দু কালচারাল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ওল্ডহ্যাম স্হানীয় এক হলে গতকাল থেকে চারদিন ব্যাপী শারদীয় দূগোঁৎসব শুরু হয়েছে ।ম্যানচেস্টারের বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্তদের উপস্থিতিতে পূজা অর্চনা ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি হয়ে অনুষ্ঠান বাঙালিদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।বিকেলে কুমারী পূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্হানীয় শিল্পীরা ধর্মীয় গান পরিবেশন করেন।