ব্রিটেনের বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ( বিসিএ) বর্ণাঢ্য আয়োজনে তাদের ১৪তম বিসিএ এওয়ার্ড প্রদান করতে যাচ্ছে। আগামী ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য এওয়ার্ডের শিরোনাম- ‘বিসিএ: দ্যা হোম অফ গ্রেট ব্রিটিশ কারি’।
এওয়ার্ড কে সামনে রেখে ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার লন্ডনের গিল্ডহলের ওয়েস্ট উইং রিসেপসনে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে -বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার ২০১৯ প্রতিযোগিতা। ব্রিটেনের দুই শতাধিক রেষ্টুরেন্ট প্রতিযোগির মধ্য থেকে যাচাই –বাচাই করে ৪০টি রেষ্টুরেন্টকে এই প্রতিযোগিতার জন্য সর্ট লিষ্ট করা হয়।
বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার ‘ ব্রিটেনে বাংলাদেশী কারী ইন্ডাষ্ট্রির একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় বাচাইকৃত ৪০টি রেষ্টুরেন্ট তাদের ব্যাবসায় প্রবর্তিত নতুন ক্রিয়েটিভ চিন্তার সমন্বয়, জিজাইন ও ডেকোর, উদ্ভাবিত মৌলিক কারী ডিস, খাবারের গুণগত মান,পরিবেশন এবং হাইজিং স্ট্যান্ডার্ড এবং কাস্টমারদের মন্তব্যগুলো ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে ৪০টি রেষ্টুরেন্টকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
প্রতিযোগিতা থেকে সেরা দশটি রেষ্টুরেন্টকে বিসিএ‘র ১৪তম এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ওয়েসমিনিষ্টার ব্রিজ এর পার্ক প্লাজা হোটেলে পুরস্কৃত করা হবে। এবারে বিসিএ এওয়ার্ড এর শিরোনাম হলো ‘বিসিএ: দ্য হোম অফ গ্রেট ব্রিটিশ কারি’।
বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার কমিটির প্রধান সাইফুল আলম বলেছেন, বিসিএ‘র এই প্রতিযোগিতা ব্রিটেনে বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট ও টেকওয়ে গুলোর সেরা মান এবং সেরা প্রতিভা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিসিএ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্রিটেনে সেরা রেষ্টুরেন্ট গুলো খুজে বের করে মূলধারায় তুলে ধরতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করছে। তিনি গিল্ডহল এ অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
বিসিএ সভাপতি এম এ মুনিম বলেছেন, রেষ্টুরেন্ট ব্যাবসায়ীরা অনেক পরিশ্রমী এবং কাজের প্রতি দায়িত্বশীল। বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টি আমাদের কমিউনিটি ও সর্বপরি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ব্রিটেনে খাবার সংস্কৃতিতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখা বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টগুলোর মান উন্নয়নে এই প্রতিযোগিতা অগ্রনী ভূমিকা রাখবে।
বিসিএ সেক্রেটারি জেনারেল মিঠু চৌধুরী বলেছেন, বিসিএ বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন হিসাবে রেষ্টুরেন্টগুলোর বিভিন্ন পজিটিভ দিক কাস্টমারদের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছে। খাবারেরর গুণগত মান , নতুন নতুন খাবার এবং কাষ্টমার কেয়ার ইত্যাদি বিষয়ে আরও দক্ষতা অর্জনে এই প্রতিযোগিতা নানাভাবে সহায়তা করবে।
চিফ কোষাধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বিপুল বলেছেন, কারী ইন্ড্রাষ্টির নানাবিদ সংকট সময়ে রেষ্টুরেন্ট ব্যাবসায়ীদের দক্ষতা অর্জন এবং ব্যাবসার প্রচার ও প্রসারে বিসিএ‘র এই উদ্যোগটি অন্যান্যদের অনুপ্রাণীত করবে। এবং এই অভিজ্ঞতা প্রতিযোগিদের কর্মক্ষেত্রে অনুপ্রেরণামূলক হয়ে ব্যাবসার সামগ্রিক প্রসারে ইতিবাচক হয়ে কাজ করবে।
অলোচনা সভার হোস্ট, সিটি অফ লন্ডন এর কাউন্সিলম্যান মনসুর আলী বিসিএ‘র সাংগঠনিক কর্মকান্ডের প্রসংসা করে বলেন, বিসিএ দীর্ঘদিন থেকে ব্রিটেনে কারী ইন্ড্রাষ্ট্রির একটি শক্তিশালি প্লাটফর্ম তৈরী করেছে এবং ব্রিটেনে খাবার সংস্কৃতিতে অত্যন্ত পজিটিভ ভূমিকা রাখছে। যা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বন্ধন তৈরীতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার ‘ এর বিচারক প্যানেলে ছিলেন সুপার পলো এর সেলস ম্যানেজার ভ্যারনিকা মরিথি। ললো ইটস এর এমডি ইয়াং জোন্স, ওয়েস্ট হাটস কলেজ এর হেড অফ স্কুল একাডেমি এন্ড হসপিটালিটি -এন্ডি উইকফোর্ড, ওয়ার্ট ফোর্ট কাউন্সিল এর সাবেক মেয়র রবি মারর্টিন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ কমিটির প্রধান এম ফজল উদ্দিন, বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম, সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী, চিফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল, সাবেক প্রেসিডেন্ট কামাল ইয়াকুব, পাশা খন্দকার এমবিই ও বজলুর রশিদ এমবিই ও সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল ওলি খান, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু, বিসিএ‘র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিদ আলী চৌধুরী, ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র পারভেজ আহমদ, কাউন্সিলার রিতা বেগম, ইউকে বিসিসিআই এর ডাইরেক্টর রহিমা মিয়া, আব্দুল হক হাবিব, জয়েন্ট করভেনার হেলাল মালিক, বিসিএ শেফ অ্যাওয়ার্ডস কমিটির প্রধান আতিক রহমান, স্কয়ার মাইল এর ডেভিট রয়স্টন, কিংফিশার এর মিষ্টার পাটেল, এফএসবি‘র মেম্বারশীপ এডভাইজার র্যাইচেল বারহাম।